বৈদ্যবাটি, 22 মে: ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রবীণ ব্যক্তির । নাম গণেশ ঘোষ । বাড়ি বৈদ্যবাটির গোবিন্দ নগর এলাকায়। গতরাত 8টা নাগাদ বাড়ি থেকে মিষ্টি কেনার জন্য বেরিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি । আজ সকালে এলাকার একটি গাছের নিচে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান বাসিন্দারা ।
বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে একটি বড়সড় রাবার গাছ ভেঙে পড়ে বৈদ্যবাটি চক এলাকায়। যার ফলে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গাছে তার জড়িয়ে যায় । অভিযোগ, ওই অবস্থাতেই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয় CESC। তার জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে ।
জানা গেছে, গণেশবাবু রাত সাড়ে 8টা নাগাদ মিষ্টি কিনতে যান । রাস্তায় একটি গাছ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি । তাই গাছের ফাঁক দিয়েই যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এদিকে, দীর্ঘ সময় ঘরে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন। সকালে শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। এরপর আজ সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় রাস্তার পাশে একটি গাছের নিচ থেকে । খবর পেয়ে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায়।
আমফানের দাপটে হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে । অন্যদিকে, একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, সেই এলাকাগুলিতে বিদ্যুতের খুঁটি, ছেঁড়া তারের ব্যবস্থা না করেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, আমফানের দাপটের পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইতিমধ্য়েই জেলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৈদ্যবাটিতে আরও একজনের মৃত্যু হল।