বাঁশবেড়িয়া, 11 মে : বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলি চালানোর ঘটনায় তৃণমূলই দায়ী ৷ এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে ৷ এমনটাই অভিযোগ করলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, সরকার গঠনের সাতদিনও হয়নি ৷ তার মধ্যেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ সেই কারণেই গুলি চলছে সপ্তগ্রাম বিধানসভায় ।
এই বিষয়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটা আগেই প্রত্যাশিত ছিল । 2019-র লোকসভা ভোটের পর সবচেয়ে বেশি গন্ডগোলের সন্ত্রাসের এলাকা ছিল বাঁশবেড়িয়া সপ্তগ্রাম । আমরা এটাকে বন্ধ করতে চেয়েছিলাম ৷ নিজেদের মধ্যে মাফিয়া রাজ ক্ষমতা দখলের লড়াই । বিধানসভা নির্বাচনে গুন্ডা মস্তান সবাই একসঙ্গে হয়ে সপ্তগ্রাম বিধানসভা জয়লাভ করেছে । এরপরেই পৌরসভা নির্বাচনে কে হবে চেয়ারম্যান কে হবে ভাইস চেয়ারম্যান । কার কাছে কত টাকা আছে,কার কাছে জমি দখলের টাকা আছে । তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে । সবচেয়ে খারাপ লাগছে মানুষের জন্য ৷ এদের মানুষ আবার ফিরিয়ে এনেছে । এটা পুরোপুরি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । একজন সাংসদ হিসাবে বলব, যে এই ঘটনা ঘটাক তার শাস্তি হোক । সরকার গঠনের সাতদিনও হয়নি ৷ তার মধ্যে এগুলো হচ্ছে । এর তদন্ত হোক ।"
বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার প্রাক্তন উপপৌরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী । অভিযোগের তির তৃণমূলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে ৷ আদিত্য নিয়োগীকে চুৃঁচুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন, বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন উপপৌরপ্রধান
নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সোনা শীল এবং আদিত্য নিয়োগী একসঙ্গেই কাজ করেছিলেন ৷ সপ্তগ্রাম বিধানসভায় জয়ী হন তপন দাশগুপ্ত। কিন্তু ভোটের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে আসে ৷ কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় সোনা শীল এবং আদিত্য নিয়োগীর মধ্যে ৷ কিছুদিন আগেই এক পরিবারের থেকে লাখখানেক টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে সোনা শীলের দুই অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি ৷ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে মগরা থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনার কিছুদিন পরেই আদিত্য নিয়োগির উপর হামলা নিছকই কাকতালীয় না এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় আজ সোনার ও তার এক সাগরেদের বাড়ি অফিস ভাঙচুর ও বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷