কলকাতা, 6 জুন : এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের । ভদ্রেশ্বরে তাঁকে আটকানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশ ইচ্ছামতো 144 ধারা জারি করে এবং পরে তুলেও নেয় । 2021 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এর জবাব পাবে । এখানে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই । এরা পুরোপুরি ব্যর্থ । তাই BJP নেতা কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা চলছে । “
গতকাল বিভিন্ন ধারায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চুঁচুড়া চন্দননগর কমিশনারেট হাজিরা দেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিং। তাঁদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিল পুলিশ । 153/A , 468, 469, 505/( 2 ), 506, 120/B, 41 ধারায় মামলা রুজু করে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।ভদ্রেশ্বর তেলিনীপাড়ার ঘটনা নিয়ে হুগলি জেলা শাসক দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেছিলেন লকেট-অর্জুন । তারপর তেলেনিপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।তাঁদের রাস্তায় আটকে দেয় পুলিশ । সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে পুলিশ কমিশনার অফিসে আসেন লকেট অর্জুন । আইনজীবীর সঙ্গে নিয়ে দুই সাংসদ প্রবেশ করেন ।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন “আমাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে । আমি সোশাল মিডিয়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা কেন প্রচার করেছি । তা নিয়ে প্রশ্ন চলে । ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়া ঘটনার পর থেকে চন্দননগর কমিশনার কোনওভাবেই আমার সঙ্গে দেখা করেনি । আজ দেখা করেছেন। আমরা মনে করি এটা আমাদের রাজনৈতিক জয়। কারণ তিনি আমাদের সঙ্গে আজ কথা বলেছেন । সেদিনের ঘটনায় আমি রাজনীতি করতে আসিনি । সাংসদ হিসেবে আমার এলাকায় সকলের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য । আমি বারবার বলেছি কমিশনার এবং জেলাশাসক আমার সঙ্গে সহযোগিতা করুক । তেলিনিপাড়া ঘটনায় আমাদের নিরীহ কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে । মামলা দেওয়া হয়েছে । তার পরিপ্রেক্ষিতে ভদ্রেশ্বর থানায় চারদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে । সেখানে পর্যন্ত আটকানো হচ্ছে । বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই । আমাদের কর্মীদের তুলে নেওয়া হয়েছে এটা আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।"