ETV Bharat / state

Fraud Case গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা - সরকারি প্রকল্প গতিধারায়

সরকারি প্রকল্প গতিধারায় গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা (Fraud Case) করা হল চাঁপদানিতে ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ৷ বুধবার তাঁদের চন্দননগর কোর্টে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।

Lakhs of fraud in name of getting cars for Gatidhara project in Champdani
Fraud Case
author img

By

Published : Aug 27, 2022, 8:09 PM IST

চুঁচুড়া, 27 অগস্ট: গতিধারা প্রকল্পের নামে সেয় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি খুলে প্রতারণার অভিযোগ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে (Lakhs of fraud in name of getting cars for Gatidhara project) । ভদ্রেশ্বর, জগদ্দল ও চুঁচুড়া থানা এলাকা থেকে ক্যাম্প লাগিয়ে টাকা তোলা হয়েছে । গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য 40 জনের বেশি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় । লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা স্বীকার হয়েছে মানুষ ।

2019 সালে ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প খুলে প্রতারণার প্রক্রিয়া শুরু হয় । বহু বেকার যুবক কিছু না বুঝতে পেরে এই প্রতারণার ফাঁদে পা দেয় । প্রথম দিকে গতিধারার একটি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল । পরে অবশ্য নম্বর করে ফেরত নেওয়া হয় গাড়ি । একটি গাড়ি ব্যবহার একাধিক মানুষকে ফাঁদে ফেলা হয় । এর মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সাকিব ও তাঁর বাবা ও ভাই ।

তবে মঙ্গলবার কলকাতা থেকে সাকিবের ভাই সাইফকে গ্রেফতার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ । বুধবার চন্দননগর কোর্টে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । শনিবার আবারও তাকে আদালতে তোলা হলে আরও দু'দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত । তবে সাকিব ও তার বাবার মহম্মদ সাবিরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।

Lakhs of fraud in name of getting cars for Gatidhara project in Champdani
ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সাকিবের ছবি দেখিয়ে প্রতারণা করা হয়

পুলিশ সূত্রে খবর, চাঁপদানির ব্যবসায়ী মহম্মদ মমতাজ আনসারিকে গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মহম্মদ সাকিব । এরপর কলকাতার অফিসে মমতাজকে ডেকে পাঠায় সাকিব । সেখানে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তার ছবি দেখানে হয় ৷ বলা হয় তাদের সঙ্গে সাকিবের পরিচয় রয়েছে । এমনকি পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Minister Firhad Hakim) ছবি দেখিয়ে আশ্বস্ত করে প্রতারকরা । তাই তাড়াতাড়ি গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি সাকিব পাইয়ে দিতে পারবেন (Fraud Case) ।

মমতাজের কাছ থেকে এরপর বিভিন্ন কিস্তিতে মোট 3 লক্ষ 73 হাজার 100 টাকা নেয় অভিযুক্তরা । এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও গাড়ি হাতে পাননি মমতাজ । তিনি গাড়ির প্রসঙ্গ তুলতেই তা এড়িয়ে যেতে শুরু করেন অভিযুক্তরা । মমতাজ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন । এ বছর এপ্রিল মাসে চন্দননগর কোর্টে ও ভদ্রেশ্বর থানায় মহম্মদ সাইফ, মহম্মদ সাকিব ও মহম্মদ সাবির নামে অভিযোগ জানান মমতাজ আনসারি ।

সরকারি প্রকল্প গতিধারায় গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা

আরও পড়ুন: ভুল বোঝাবুঝি, শিশু চোর সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

এর আগেও চন্দননগর কোর্টে সাকিবের নামে প্রতারণার মামলা রয়েছে । মমতাজের আইনজীবী দিগন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, শুধু মমতাজের সঙ্গেই নয়, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর এলাকার অনেকের সঙ্গেই এরকম প্রতারণা করা হয়েছে । গরিব মানুষকে সাবসিডিতে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চালিয়ে গিয়েছে এই তিন জন । অভিযুক্তরা সম্পর্কে বাবা ও দুই ছেলে । সেয় ট্রান্সপোর্টেশন অ্য়ান্ড লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি কোম্পানি খুলে তার ব্যানারে প্রতারণা চালাত অভিযুক্তরা । ছোটো ছেলে সাইফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বাকি দুই অভিযুক্ত বড় ছেলে মহম্মদ সাকিব ও বাবা সাবির আলির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ।

চুঁচুড়া, 27 অগস্ট: গতিধারা প্রকল্পের নামে সেয় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি খুলে প্রতারণার অভিযোগ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে (Lakhs of fraud in name of getting cars for Gatidhara project) । ভদ্রেশ্বর, জগদ্দল ও চুঁচুড়া থানা এলাকা থেকে ক্যাম্প লাগিয়ে টাকা তোলা হয়েছে । গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য 40 জনের বেশি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় । লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা স্বীকার হয়েছে মানুষ ।

2019 সালে ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প খুলে প্রতারণার প্রক্রিয়া শুরু হয় । বহু বেকার যুবক কিছু না বুঝতে পেরে এই প্রতারণার ফাঁদে পা দেয় । প্রথম দিকে গতিধারার একটি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল । পরে অবশ্য নম্বর করে ফেরত নেওয়া হয় গাড়ি । একটি গাড়ি ব্যবহার একাধিক মানুষকে ফাঁদে ফেলা হয় । এর মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সাকিব ও তাঁর বাবা ও ভাই ।

তবে মঙ্গলবার কলকাতা থেকে সাকিবের ভাই সাইফকে গ্রেফতার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ । বুধবার চন্দননগর কোর্টে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । শনিবার আবারও তাকে আদালতে তোলা হলে আরও দু'দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত । তবে সাকিব ও তার বাবার মহম্মদ সাবিরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।

Lakhs of fraud in name of getting cars for Gatidhara project in Champdani
ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সাকিবের ছবি দেখিয়ে প্রতারণা করা হয়

পুলিশ সূত্রে খবর, চাঁপদানির ব্যবসায়ী মহম্মদ মমতাজ আনসারিকে গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মহম্মদ সাকিব । এরপর কলকাতার অফিসে মমতাজকে ডেকে পাঠায় সাকিব । সেখানে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তার ছবি দেখানে হয় ৷ বলা হয় তাদের সঙ্গে সাকিবের পরিচয় রয়েছে । এমনকি পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Minister Firhad Hakim) ছবি দেখিয়ে আশ্বস্ত করে প্রতারকরা । তাই তাড়াতাড়ি গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি সাকিব পাইয়ে দিতে পারবেন (Fraud Case) ।

মমতাজের কাছ থেকে এরপর বিভিন্ন কিস্তিতে মোট 3 লক্ষ 73 হাজার 100 টাকা নেয় অভিযুক্তরা । এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও গাড়ি হাতে পাননি মমতাজ । তিনি গাড়ির প্রসঙ্গ তুলতেই তা এড়িয়ে যেতে শুরু করেন অভিযুক্তরা । মমতাজ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন । এ বছর এপ্রিল মাসে চন্দননগর কোর্টে ও ভদ্রেশ্বর থানায় মহম্মদ সাইফ, মহম্মদ সাকিব ও মহম্মদ সাবির নামে অভিযোগ জানান মমতাজ আনসারি ।

সরকারি প্রকল্প গতিধারায় গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা

আরও পড়ুন: ভুল বোঝাবুঝি, শিশু চোর সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

এর আগেও চন্দননগর কোর্টে সাকিবের নামে প্রতারণার মামলা রয়েছে । মমতাজের আইনজীবী দিগন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, শুধু মমতাজের সঙ্গেই নয়, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর এলাকার অনেকের সঙ্গেই এরকম প্রতারণা করা হয়েছে । গরিব মানুষকে সাবসিডিতে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চালিয়ে গিয়েছে এই তিন জন । অভিযুক্তরা সম্পর্কে বাবা ও দুই ছেলে । সেয় ট্রান্সপোর্টেশন অ্য়ান্ড লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি কোম্পানি খুলে তার ব্যানারে প্রতারণা চালাত অভিযুক্তরা । ছোটো ছেলে সাইফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বাকি দুই অভিযুক্ত বড় ছেলে মহম্মদ সাকিব ও বাবা সাবির আলির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.