ETV Bharat / state

Kesoram Rayon Factory Reopens : শ্রমিক অসন্তোষ মিটিয়ে 6 মাস পর খুলল হুগলির রেয়ন কারখানা

শ্রম মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় মিটল হুগলির কেশোরাম রেয়ন কারখানার শ্রমিক-মালিক দ্বন্দ্ব (Owner and Works Problem of Kesoram Rayon Factory is Solve) ৷ প্রায় 6 মাস বন্ধ থাকার পর খুলে গেল কারখানার গেট (Kesoram Rayon Factory Reopens) ৷ তার পরেই খুশির হাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ৷ গত লকডাউনের পর, লোকসানের কারণ দেখিয়ে কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ ৷

Keshoram Rayon Factory Reopen
Keshoram Rayon Factory Reopen
author img

By

Published : Dec 22, 2021, 2:15 PM IST

হুগলি, 22 ডিসেম্বর : দীর্ঘ ছয় মাস পর হুগলি কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানার গেট খুলল ৷ তার জেরে স্বভাবতই খুশি শ্রমিকরা ৷ বলাগর তৃণমূল বিধায়ক সহ একাধিক ইউনিয়ন অবস্থানে বসেছিল কারখানা গেটে । তাতেও জট কাটেনি । গতকাল শ্রম মন্ত্রী বেচারাম মান্নার মধ্যস্থতায় এর সমাধান সূত্র তা বের হয় (Kesoram Rayon Factory Reopens) ৷ গত 22 জুন রেয়ন কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাসপেনশান অফ ওয়ার্ক ঘোষণা করেছিল ৷

করোনার জেরে আর্থিক সংকট, উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি কমে যাওয়া, দ্রব্য মজুত হয়ে যাওয়া, কাঁচামালের জোগান না থাকার কারণ দেখিয়ে সাসপেনশান অফ ওয়ার্ক ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ ৷ স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন ৷ রেয়ন কর্তৃপক্ষের শর্ত ছিল যেসব স্থায়ী শ্রমিকের বয়স পঁয়তাল্লিশ পেরিয়েছে, তাঁদের স্বেচ্ছা অবসর নিতে হবে ৷ না হলে কারখানা চালানো যাবে না ৷ স্বেচ্ছা অবসর নিলে 3 লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ ৷ প্রথমত, এক কালিন তিন লাখ টাকা ছাড়া আর কিছু পাবেন না শ্রমিকরা ৷ আবার যার এখনও দীর্ঘদিন চাকরি বাকি আছে, তাঁদেরও অবসরে একই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রেয়ন কর্তৃপক্ষ ৷ সংস্থার সেই প্রস্তাব মানতে চায়নি শ্রমিকরা ৷

আরও পড়ুন : Widows of Migrant Workers demand jobs : চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা নিহত পরিযায়ীদের স্ত্রীদের, আটকাল পুলিশ

শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গেও এ নিয়ে বৈঠক হয় ৷ এর পর সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কারখানার গেট খুলে আলোচনা করতে হবে ৷ তার পরেই গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়ন গুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় (Owner and Works Problem of Kesoram Rayon Factory is Solved) ৷ সেখানে স্বেচ্ছা অবসরের বয়স বাড়িয়ে 53 করা হয় ৷ বৈঠকে ঠিক হয় যাঁর যত বেশি দিন চাকরি বাকি থাকবে, সেই ব্যক্তি তত বেশি টাকা পাবেন ৷ যেমন 53 বছর বয়সে অবসর নিলে 6 লক্ষ 75 হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় ৷

শ্রমিক অসন্তোষ মিটিয়ে 6 মাস পর খুলল হুগলির রেয়ন কারখানা

আরও পড়ুন : Haldia Exide : কারখানার জন্য জমি দিয়ে মেলেনি চাকরি, হলদিয়ায় বিক্ষোভ জমিদাতাদের

এমনকি চাকরি ছাড়ার পাশাপাশি, নিজের পরিবর্তে নমিনি হিসেবে একজনকে কাজে যোগ দেওয়াতে পারবেন অবসর নেওয়া শ্রমিক ৷ এই শর্ত 57 বছর বয়স পর্যন্ত কার্যকরী হবে ৷ 58 বছরের পর অবসর নিলে তাঁকে 1 লক্ষ 35 হাজার টাকা দেওয়া হবে ৷ তবে, ওই শ্রমিকের হয়ে কেউ নমিনি হতে পারবেন না ৷ 53 বছরের নীচে কোনও শ্রমিক অবসর নিলে, তাঁকে 7 লক্ষ টাকা এবং নমিনি দেওয়া হবে বলে ঠিক হয় বৈঠকে ৷ এর পরেই কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷

হুগলি, 22 ডিসেম্বর : দীর্ঘ ছয় মাস পর হুগলি কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানার গেট খুলল ৷ তার জেরে স্বভাবতই খুশি শ্রমিকরা ৷ বলাগর তৃণমূল বিধায়ক সহ একাধিক ইউনিয়ন অবস্থানে বসেছিল কারখানা গেটে । তাতেও জট কাটেনি । গতকাল শ্রম মন্ত্রী বেচারাম মান্নার মধ্যস্থতায় এর সমাধান সূত্র তা বের হয় (Kesoram Rayon Factory Reopens) ৷ গত 22 জুন রেয়ন কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাসপেনশান অফ ওয়ার্ক ঘোষণা করেছিল ৷

করোনার জেরে আর্থিক সংকট, উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি কমে যাওয়া, দ্রব্য মজুত হয়ে যাওয়া, কাঁচামালের জোগান না থাকার কারণ দেখিয়ে সাসপেনশান অফ ওয়ার্ক ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ ৷ স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন ৷ রেয়ন কর্তৃপক্ষের শর্ত ছিল যেসব স্থায়ী শ্রমিকের বয়স পঁয়তাল্লিশ পেরিয়েছে, তাঁদের স্বেচ্ছা অবসর নিতে হবে ৷ না হলে কারখানা চালানো যাবে না ৷ স্বেচ্ছা অবসর নিলে 3 লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ ৷ প্রথমত, এক কালিন তিন লাখ টাকা ছাড়া আর কিছু পাবেন না শ্রমিকরা ৷ আবার যার এখনও দীর্ঘদিন চাকরি বাকি আছে, তাঁদেরও অবসরে একই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রেয়ন কর্তৃপক্ষ ৷ সংস্থার সেই প্রস্তাব মানতে চায়নি শ্রমিকরা ৷

আরও পড়ুন : Widows of Migrant Workers demand jobs : চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা নিহত পরিযায়ীদের স্ত্রীদের, আটকাল পুলিশ

শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গেও এ নিয়ে বৈঠক হয় ৷ এর পর সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কারখানার গেট খুলে আলোচনা করতে হবে ৷ তার পরেই গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়ন গুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় (Owner and Works Problem of Kesoram Rayon Factory is Solved) ৷ সেখানে স্বেচ্ছা অবসরের বয়স বাড়িয়ে 53 করা হয় ৷ বৈঠকে ঠিক হয় যাঁর যত বেশি দিন চাকরি বাকি থাকবে, সেই ব্যক্তি তত বেশি টাকা পাবেন ৷ যেমন 53 বছর বয়সে অবসর নিলে 6 লক্ষ 75 হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় ৷

শ্রমিক অসন্তোষ মিটিয়ে 6 মাস পর খুলল হুগলির রেয়ন কারখানা

আরও পড়ুন : Haldia Exide : কারখানার জন্য জমি দিয়ে মেলেনি চাকরি, হলদিয়ায় বিক্ষোভ জমিদাতাদের

এমনকি চাকরি ছাড়ার পাশাপাশি, নিজের পরিবর্তে নমিনি হিসেবে একজনকে কাজে যোগ দেওয়াতে পারবেন অবসর নেওয়া শ্রমিক ৷ এই শর্ত 57 বছর বয়স পর্যন্ত কার্যকরী হবে ৷ 58 বছরের পর অবসর নিলে তাঁকে 1 লক্ষ 35 হাজার টাকা দেওয়া হবে ৷ তবে, ওই শ্রমিকের হয়ে কেউ নমিনি হতে পারবেন না ৷ 53 বছরের নীচে কোনও শ্রমিক অবসর নিলে, তাঁকে 7 লক্ষ টাকা এবং নমিনি দেওয়া হবে বলে ঠিক হয় বৈঠকে ৷ এর পরেই কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.