ETV Bharat / state

বই কিনতে পারিনি, গলার হার বিক্রি করে পড়াশোনা করেছি : মমতা - rss

তারকেশ্বরের বালিগড়িতে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানান কথা বলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Feb 23, 2019, 10:26 AM IST

তারকেশ্বর, ২৩ ফেব্রুয়ারি: "বাবা-মা আমাকে বই কিনে দিতে পারেনি। আমি নিজে গলার হার বিক্রি করে পড়াশোনা করেছি। কারোর কাছে ভিক্ষে চাইনি।" গতকাল তারকেশ্বরের বালিগড়িতে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, "আপনাদের কাজ করি। আন্তরিকভাবে করি, জীবন দিয়ে করি। আমি যদি দেখি একটা রাস্তা খারাপ টাকা না থাকলেও বলি একটু দেখে নে। আস্তে আস্তে যদি এটা ভালো হয়। চেষ্টা করি। কারণ একবারে তো সব হয় না।"

গতকালের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অনেক কাজ হয়েছে, যেটুকু বাকি আছে আস্তে আস্তে হবে। একবারে কি সব হয় ? কিছুই তো ছিল না।" নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, "ছোটোবেলায় আমার খুব সাইকেল চড়তে ইচ্ছে করত। কিন্তু আমার মা-বাবা আমাকে একটি সাইকেল কিনে দিতে পারেনি। আমার মা-বাবা যখন আমাকে বই কিনে দিতে পারেনি আমি নিজে গলার হার বিক্রি করে পড়াশোনা করেছি। কারোর কাছে ভিক্ষে চাইনি। আমরা কোনও সুযোগ পাইনি। আমি এগুলি জীবন দিয়ে দেখেছি বলেই বলছি, যেন আমার ভাই-বোনেরা এই সমস্যায় না পড়ে। তারা যেন ভালো থাকে, তারা যেন খুব সুন্দর থাকে।"

তিনি আরও বলেন, "যাদের স্কুলের ব্যাগ বা বই নেই, তাদের স্কুল ডিপার্টমেন্টকে কিনে দিতে বলেছি। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ছেলেমেয়েরা আগে নম্বর পেত না। ষাট, সত্তর বা আশি। এখন ৯০, ৯৫, ৯৬ পায়। আমাদের ছেলে-মেয়েরাও আন্তর্জাতিক কম্পিটিশনে যাচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যদি নম্বর বেশি না পায় ওরা কী করে মেডিকেলে সুযোগ পাবে? ওরা কী করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পাবে। এইসব আমি খুব ভাবি। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।"

undefined

তারকেশ্বর, ২৩ ফেব্রুয়ারি: "বাবা-মা আমাকে বই কিনে দিতে পারেনি। আমি নিজে গলার হার বিক্রি করে পড়াশোনা করেছি। কারোর কাছে ভিক্ষে চাইনি।" গতকাল তারকেশ্বরের বালিগড়িতে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, "আপনাদের কাজ করি। আন্তরিকভাবে করি, জীবন দিয়ে করি। আমি যদি দেখি একটা রাস্তা খারাপ টাকা না থাকলেও বলি একটু দেখে নে। আস্তে আস্তে যদি এটা ভালো হয়। চেষ্টা করি। কারণ একবারে তো সব হয় না।"

গতকালের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অনেক কাজ হয়েছে, যেটুকু বাকি আছে আস্তে আস্তে হবে। একবারে কি সব হয় ? কিছুই তো ছিল না।" নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, "ছোটোবেলায় আমার খুব সাইকেল চড়তে ইচ্ছে করত। কিন্তু আমার মা-বাবা আমাকে একটি সাইকেল কিনে দিতে পারেনি। আমার মা-বাবা যখন আমাকে বই কিনে দিতে পারেনি আমি নিজে গলার হার বিক্রি করে পড়াশোনা করেছি। কারোর কাছে ভিক্ষে চাইনি। আমরা কোনও সুযোগ পাইনি। আমি এগুলি জীবন দিয়ে দেখেছি বলেই বলছি, যেন আমার ভাই-বোনেরা এই সমস্যায় না পড়ে। তারা যেন ভালো থাকে, তারা যেন খুব সুন্দর থাকে।"

তিনি আরও বলেন, "যাদের স্কুলের ব্যাগ বা বই নেই, তাদের স্কুল ডিপার্টমেন্টকে কিনে দিতে বলেছি। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ছেলেমেয়েরা আগে নম্বর পেত না। ষাট, সত্তর বা আশি। এখন ৯০, ৯৫, ৯৬ পায়। আমাদের ছেলে-মেয়েরাও আন্তর্জাতিক কম্পিটিশনে যাচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যদি নম্বর বেশি না পায় ওরা কী করে মেডিকেলে সুযোগ পাবে? ওরা কী করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পাবে। এইসব আমি খুব ভাবি। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।"

undefined
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.