হুগলি, 14 ডিসেম্বর: তৃণমূলের 11 বছরের শাসনকালের পরও অনুন্নয়নের ছবি হুগলির (Hooghly Road Problem) বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পরতে পরতে । বিধানসভা ভোটে প্রতিশ্রুতি মিলেছিল রাস্তা হবে । কিন্তু এখনও ধিতাড়া পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দাদের দাবি পূরণ হয়নি (Poor Road Condition)। কয়েকমাস পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)৷ ভোটের আগে রাস্তা সংস্কার না হলে ভোট বয়কটের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷
বছর কুড়ি আগে বাম জামানায় পাকা রাস্তা হয়েছিল (Villagers threaten boycott of Panchayat Election)৷ তারপর থেকে কুড়ি বছর পেরিয়ে গেলেও রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজই হয়নি । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় প্রায় 2000 মানুষের বসবাস ৷ চাকরিজীবী থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া - এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে ৷ তারপরেও নেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা ৷ রাস্তায় জমে থাকা জল পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় মানুষজনকে । পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সরব হলেন তাঁরা । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের আগে অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু রাস্তা তো দূরে থাক, তারপর থেকে তাঁদের দেখা পর্যন্ত মেলেনি ৷
এলাকার বাসিন্দা গৌড় কোলে বলেন, "এখানে নেতারা রাস্তায় লাইট লাগাতে ব্যস্ত ৷ কিন্তু রাস্তার যে এই অবস্থা, তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই ।মন্ত্রী বেচারাম মান্না বিধানসভায় আগে বলেছিলেন, রাস্তা হবে । কিন্তু রাস্তা হয়নি । পঞ্চায়েত ভোটে কোনও প্রার্থী দরকার নেই । রাস্তা না হলে আমরা ভোট বয়কট করব ।"
আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে ভোট কিনি, রাস্তা-জল-আলোর প্রশ্নে গ্রামবাসীদের উত্তর রাজনীতির কারবারিদের
স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, "আমাদের এলাকায় নাকি উন্নয়ন নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই । তাই প্রধান মহাশয়কে বলব, আগে বিঘাটির ম্যাপটা ভালো করে জানুন ৷ সেখানে পশ্চিমপাড়া নামে একটি জায়গা আছে । এখানকার সমস্যাগুলি আগে জানুন, তারপর বলবেন সব উন্নয়ন হয়ে গিয়েছে ।"
অপরদিকে, বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক পাকিরা বলেন, "রাস্তাটি প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা এবং সেই রাস্তা মেরামতির জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা দরকার । তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে সেই রাস্তা মেরামত করা সম্ভব নয় । কেএমডিএ-কে জানিয়েছি এবং আমাদের পক্ষ থেকে যতটা করার আমরা করছি । এর পরবর্তীতে কেএমডি-র মুখের তাকিয়ে বসে আছি । তা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ।"