হরিপাল (হুগলি), 10 ডিসেম্বর: বয়স মাত্র দু'বছর ৷ স্কুলের ধারে কাছে যায়নি সে । কিন্তু এই ছোট বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে (India Book of Records) নাম তুুলে তাক লাগিয়েছে হরিপালের বাসিন্দা অরণ্য দাস ।
ছবি দেখেই বিভিন্ন দেশের মনুমেন্টের নাম নিমেষেই সব বলে দিতে পারছে সে । মাত্র এক মিনিটে কুড়িটি মনুমেন্টে চিহ্নিত করার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে অরণ্য । এত কম বয়সে এই প্রতিভা দেখে স্তম্ভিত পরিবার-পরিজন থেকে এলাকাবাসীর সকলেই । ছোট্ট অরণ্যর কীর্তি দেখে অনেকেই মনে করছেন ভগবান প্রদত্ত ক্ষমতা রয়েছে তার মধ্যে ।
ছোট থেকে খেলার ছলে সব কিছু শিখে ফেলে অরণ্য । কথা বলতে না-পারলেও ইশারা দিয়ে সমস্ত কিছুই বুঝিয়ে দিতে পারত সে । এমনকী ঘরের প্রতিটা জিনিস ইশারাতেই সে বলে দিত। এটা দেখেই তার মায়ের মাথায় ভাবনা আসে ছেলের এই প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরার । সেই ভাবনা থেকেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে ছেলের নাম নথিভুক্ত করনের জন্য চেষ্টা করেন তিনি ।
প্রথমে 30টি বিষয়ে ভিডিয়ো আপলোড করতে হয় সেখানে । মাত্র এক মিনিটে কুড়িটি ঐতিহাসিক স্থানের ছবি দেখে চিন্তিত করতে পারে অরণ্য । 27 অক্টোবর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড দেওয়া হয় তাকে ।
আরও পড়ুন: ঠোঁটের ডগায় কবিতা, জাতীয় সংগীত ! মাত্র আড়াই বছর বয়সেই রেকর্ড বুকে অহেঞ্জিতা
এ বিষয়ে তার মা মৌমিতা ঘোষ দাস বলেন, "ছোট থেকেই ইশারায় কথা বলার একটি অভ্যাস ছিল অরণ্যের । আঙুল দিয়ে ঘরের কোন জিনিসটা কী সেটা ঠিক সে বুঝিয়ে দিতে পারত । সেই থেকেই তাকে পড়াশোনা শেখাতে শুরু করি । প্রথমে ছবি দেখিয়ে কোনটা কী তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে সহজেই তা বলে দিতে পারত । এরপরেই অরণ্যর এই প্রতিভাকে তুলে ধরার জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে প্রয়াস করি । তারপরেই অরণ্যের প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ।" তাদের বাড়ির ছোটো সদস্যের এত বড় সাফল্যে গর্বিত অরণ্যের বাবা থেকে দাদু-ঠাকুমারা ।