আরামবাগ, 3 অগস্ট: টেট দুর্নীতির সঙ্গে গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারের যোগ থাকার পাশাপাশি 13 জন শিক্ষকের নামের তালিকা দিয়ে সোশাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে বিতর্ক আরামবাগ মহকুমা জুড়ে । ঘটনার বিরুদ্ধে উক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা অভিযোগ দায়ের করেন গোঘাট থানায় ।
সম্প্রতি, হুগলিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার ও তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কালেক্টর ছিল । সেই মন্তব্যের পর গোঘাটের এক বিজেপি নেতা কেশব মজুমদারের এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক(Goghat BJP leader social media post controversy)। ঘটনায় ওই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
যাদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাঁরা বেশ কয়েকজন শিক্ষকতার পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : অপার সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কটাক্ষ শুভেন্দুর
কেশব মজুমদার নামে ওই বিজেপি নেতা পোস্টে লিখেছেন, "2014 সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন যারা তাঁদের নামের তালিকা দিলাম । এরা সবাই গোঘাটের টিএমসি নেতা ।"
এর পাশাপাশি প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের নাম দিয়ে পোস্ট হয়েছে । যেখানে ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তুলেছেন । আর এইসব ছবি-সহ একটি 13জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে । মঙ্গলবার রাতেই তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষক গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তাঁদের দাবি, 2012 সালে তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করছেন । তারপরেও কেন এই ধরনের পোস্ট করে সম্মানহানি করা হচ্ছে ? ইচ্ছা করে নেতা তথা গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
পুরো বিষয়টাই শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পর বিজেপির মদতে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা বলে জানান গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার । যদিও এই ঘটনায় বিজেপির যোগ নেই বলে জানিয়েছে আরামবাগ বিজেপি ৷ তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকারী বিজেপি নেতা কেশব মজুমদারের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি ৷
আরও পড়ুন : টেট দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি