চন্দননগর, 14 সেপ্টেম্বর: চন্দননগর হাসপাতালে রোগীদের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়ার ঘটনায় সরব বিজেপির। সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তাতে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন। তিনি লেখেন, "চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে ৷ এর কারণে মানুষের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার দায় কে নেবে?"এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
-
TMC has dragged down the healthcare system of WB to a dilapidated condition... Expired medicine is being given to patients at the Chandannagar Super Speciality Hospital... Who will take responsibility for the lives that are being risked because of this? @MamataOfficial pic.twitter.com/b4KwyL50Og
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) September 13, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">TMC has dragged down the healthcare system of WB to a dilapidated condition... Expired medicine is being given to patients at the Chandannagar Super Speciality Hospital... Who will take responsibility for the lives that are being risked because of this? @MamataOfficial pic.twitter.com/b4KwyL50Og
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) September 13, 2023TMC has dragged down the healthcare system of WB to a dilapidated condition... Expired medicine is being given to patients at the Chandannagar Super Speciality Hospital... Who will take responsibility for the lives that are being risked because of this? @MamataOfficial pic.twitter.com/b4KwyL50Og
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) September 13, 2023
সরকারি হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট থাকা সত্ত্বেও ওষুধের কাউন্টার থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে দেওয়া হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীদের আত্মীয় থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। তবে তৃণমূলের দাবি, কোনও ঘটনা হলে অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এনিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার রোগীর এক আত্মীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ কেনেন। এরপর ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনাটি সামনে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাসপাতাল সুপার।
কী কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্টও পাঠানো হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চন্দননগর হাসপাতাল রোগীকে কীভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিতে পারে। এ বিষয়ে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুইয়াঁ বলেন, "এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতাল সুপার ফার্মাসিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এটা নজর এড়িয়ে কীভাবে হল সেটার জন্য তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।রাজ্যে একটি রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস অন্তর ওষুধের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়। এরজন্য হিসেবও রাখতে হয় ৷"
চন্দননগরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোপাল চৌবে বলেন, "চন্দননগর হাসপাতালে একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই স্বাস্থ্য দফতর ও মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে ব্যবস্থা নিক। একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ হাসপাতাল থেকে রোগীদের দেওয়া হয়েছে। রোগীদের কিছু হলে এর দায় কে নেবে?" চন্দননগর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ও তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ সারথি দত্ত বলেন, "যিনি অভিযোগ করছেন তিনি বিশেষ একটি দলের লোক। এর পিছনে কতটা সত্যতা আছে সেটা দেখার বিষয়। তবে সরকার যেভাবে চিকিৎসার উন্নতি করছে। সে জায়গায় যদি কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেব।"
উল্লেখ্য, গত 11 সেপ্টেম্বর আউটডোরে চিকিৎসার জন্য আসেন মালতি মল্লিক। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ নেন। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার সময় দেখা যায় 2023 সালের জুন মাসে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। পরদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখানো হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হল কীভাবে সে নিয়ে প্রশ্ন তোলে পরিবার।
আরও পড়ুন: প্রসূতি ওয়ার্ডে এদিক-সেদিক বেড়াল, অবাধ বিচরণ গরুর; হাসপাতালে গিয়ে ক্ষুব্ধ অগ্নিমিত্রা