ETV Bharat / state

World Earth Day: গাছ কেটে বহুতল, নেই আইনের বালাই; খাতায়-কলমে চলছে আর্থ ডে

দিন দিন গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে অট্টালিকা ৷ শুধু গাছই নয় জলাভূমি, নদীচুরিও নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক উদাসীনতায়। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন না-হলে আগামিদিনে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগোবে। বিশ্ব পৃথিবী দিবসে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তাই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আর্জি আবেদন পরিবেশবিদের।

World Earth Day
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Apr 22, 2023, 9:18 PM IST

প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আর্জি আবেদন পরিবেশবিদের

হুগলি, 22 এপ্রিল: গাছ কেটে বহুতল, অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে। নগরায়ণের নামে শহরতলীর অলিগলিতে এখন জতুগৃহ হয়েছে। এতেই নষ্ট হচ্ছে পৃথিবীর ভারসাম্য। শুধু গাছই নয় জলাভূমি, নদীচুরিও নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক উদাসীনতায়। মানুষের লোভ ও লালসায় কারণে পরিবেশ নষ্ট করা কোনও অপরাধই নয়। জনসংখ্যা বাড়ার কারণে সভ্যতা ধ্বংস হলে পালিয়ে যাওয়ার আর কোনও জায়গা থাকবে না পৃথিবীতে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন না-হলে আগামিদিনে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগোবে। বিশ্ব পৃথিবী দিবসে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আর্জি আবেদন পরিবেশবিদের।

চন্দননগরের এক পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, "বিশ্ব পৃথিবী দিবস সর্বত্র পালিত হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব ও ভারতবর্ষ জতুগৃহের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বহুদিন আগে থেকেই বৈজ্ঞানিকরা বলছে প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে, প্রকৃতি তার ছন্দমতো চলছে না। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে ৷ এটা সবই মানুষের সৃষ্টি। তার প্রধান কারণ সমস্ত জলাশয় বুঝিয়ে ফেলা, নদীকে দূষিত করা, তার সঙ্গে রয়েছে যত্রতত্র গাছ কেটে নষ্ট করে দেওয়া। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বিগত 10 বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাছ কমে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতাতে সেই কারণেই ভয়ংকরভাবে কলকাতা-সহ আশেপাশের মফস্বল ও শহরগুলিতে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে।"

আরও পড়ুন: পৃথিবীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জল, এই উপায়ে তা সংরক্ষণ করুন বাড়িতে

তাঁর কথায়, রাস্তা সম্প্রসারণের নামে যথেচ্ছ গাছ কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জলাশয় বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নদী চুরি হয়ে যাচ্ছে। গঙ্গা, দামোদর-সহ একাধিক নদী চুরি হয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে স্মরণ করা উচিত প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করা। এছাড়াও জলাভূমিকে রক্ষা করে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। না-হলে সভ্যতা মুছে যাবে আর আমাদের চরম দুর্ভোগকে পড়তে হবে। প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ না-করলে কোনও মতেই কিছু সম্ভব নয়। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর এর জন্য চাই মানুষের আন্দোলন প্রতিবাদ প্রতিরোধ।

প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আর্জি আবেদন পরিবেশবিদের

হুগলি, 22 এপ্রিল: গাছ কেটে বহুতল, অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে। নগরায়ণের নামে শহরতলীর অলিগলিতে এখন জতুগৃহ হয়েছে। এতেই নষ্ট হচ্ছে পৃথিবীর ভারসাম্য। শুধু গাছই নয় জলাভূমি, নদীচুরিও নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক উদাসীনতায়। মানুষের লোভ ও লালসায় কারণে পরিবেশ নষ্ট করা কোনও অপরাধই নয়। জনসংখ্যা বাড়ার কারণে সভ্যতা ধ্বংস হলে পালিয়ে যাওয়ার আর কোনও জায়গা থাকবে না পৃথিবীতে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন না-হলে আগামিদিনে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগোবে। বিশ্ব পৃথিবী দিবসে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আর্জি আবেদন পরিবেশবিদের।

চন্দননগরের এক পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, "বিশ্ব পৃথিবী দিবস সর্বত্র পালিত হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব ও ভারতবর্ষ জতুগৃহের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বহুদিন আগে থেকেই বৈজ্ঞানিকরা বলছে প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে, প্রকৃতি তার ছন্দমতো চলছে না। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে ৷ এটা সবই মানুষের সৃষ্টি। তার প্রধান কারণ সমস্ত জলাশয় বুঝিয়ে ফেলা, নদীকে দূষিত করা, তার সঙ্গে রয়েছে যত্রতত্র গাছ কেটে নষ্ট করে দেওয়া। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বিগত 10 বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাছ কমে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতাতে সেই কারণেই ভয়ংকরভাবে কলকাতা-সহ আশেপাশের মফস্বল ও শহরগুলিতে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে।"

আরও পড়ুন: পৃথিবীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জল, এই উপায়ে তা সংরক্ষণ করুন বাড়িতে

তাঁর কথায়, রাস্তা সম্প্রসারণের নামে যথেচ্ছ গাছ কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জলাশয় বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নদী চুরি হয়ে যাচ্ছে। গঙ্গা, দামোদর-সহ একাধিক নদী চুরি হয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে স্মরণ করা উচিত প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করা। এছাড়াও জলাভূমিকে রক্ষা করে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। না-হলে সভ্যতা মুছে যাবে আর আমাদের চরম দুর্ভোগকে পড়তে হবে। প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ না-করলে কোনও মতেই কিছু সম্ভব নয়। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর এর জন্য চাই মানুষের আন্দোলন প্রতিবাদ প্রতিরোধ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.