চুঁচুড়া, 4 জুলাই : চুঁচুড়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু বৃদ্ধ দম্পতির ৷ হাতে ও পায়ে বৈদ্যুতিক তার জড়ানো অবস্থায় ওই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ মৃতদের নাম গঙ্গাধর দাস(78) এবং জ্যোতি দাস (68) । মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে গিয়ে ওই দম্পতিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে, মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করেছে ওই দম্পতি ৷ তবে পরিবারের অভিযোগ, গঙ্গাধর দাসের ভাই মানিক দাসের কাছে গাছ কাটা নিয়ে হুমকি পেয়ে ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার তালডাঙার বাসিন্দা ওই দম্পতির দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ৷ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাড়িতে থাকতেন ৷ নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করলেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গঙ্গাধরবাবুর শরীর খারাপ থাকায় তিনি বসেছিলেন ৷ স্ত্রী জ্যোতি দাস রান্নার কাজ করতেন ৷ সংসারে আর্থিক অনটন ছিল, ছোটো মেয়ে বাবা-মাকে আর্থিক সাহায্য করতেন ৷
নাতি ঋদ্ধিমান সেন জানায়, ‘‘আজ তারা বাড়িতে এসে দেখে মৃতদেহ দুটি মাটিতে পড়ে রয়েছে ৷ দাদুর হাতে ও দিদার পায়ে বৈদ্যুতিক তার জড়ানো ৷’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছে, গঙ্গাধর দাসের বাড়ির পাশে তাঁর ভাই মানিক দাসের বাড়ি ৷ সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে গঙ্গাধর দাসের বাড়ির কয়েকটি গাছ মানিক দাসের বাড়িতে ভেঙে পড়ে ৷ তখন মানিক দাস না কি গঙ্গাধরকে হুমকি দেয় ৷ বলে, গাছ না কাটালে খুনোখুনি হয়ে যাবে ৷ গঙ্গাধরবাবু লোক ডাকিয়ে গাছ কাটিয়ে দেন ৷ তবে ভাইয়ের ব্যবহারে তিনি ব্যথিত হয়েছিলেন ৷ অশান্তির কারণে তিনি ভয় পেয়ে গেছিলেন ৷ তারপরই এই ঘটনা ৷
অন্যদিকে মানিক দাস বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷ গাছগুলি বাড়ির উপর ঝুঁকে ছিল, তাই তিনি কেবল গাছটি কাটার কথা বলেছিলেন ৷ খুনের কোনও হুমকি দেননি ৷