ETV Bharat / state

Corona Effect : করোনায় ঘরবন্দিদের গাছের প্রতি ঝোঁক, হুগলির নার্সারির পৌষমাস

করোনা আবহে পসার বাড়ছে হুগলি জেলার নার্সারিগুলির ৷ ফুল, ফলের গাছ থেকে হাল ফ্যাশনের ইনডোর প্লান্ট ৷ চাহিদা রয়েছে সবকিছুরই ৷ যাঁরা পারছেন, নার্সারিতে এসে গাছ কিনছেন, আর যাঁদের পক্ষে সেটা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁরা অনলাইনে বিভিন্ন ক্যুরিয়র সার্ভিসের মাধ্যমে গাছ অর্ডার করছেন ৷ আর তাতেই লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে নার্সারির মালিক ও কর্মীদের ৷

Corona Effect : nursery business growing in Hoogly during Covid situation
Corona Effect : গাছে ঝোঁক বাড়ছে ঘরবন্দিদের, হুগলির নার্সারিগুলিতে বাড়ছে পসার
author img

By

Published : Jul 26, 2021, 8:00 PM IST

হুগলি, 26 জুলাই : করোনা আবহে যখন একের পর এক ব্যবসায় ভাটার টান, ঠিক তখনই উলোট পুরাণ হুগলির নার্সারিগুলিতে ৷ মহামারিতে ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে চাহিদা বাড়ছে গাছের ৷ বাহারি অর্কিড থেকে ক্য়াকটাস ৷ কিংবা দেশি, বিদেশি ইনডোর প্লান্ট ৷ অথবা চেনা, অচেনা ফল, ফুলের গাছ ৷ বাগান, উঠোন, বাড়ির ছাদ থেকে ঘরের অন্দর, গাছের সম্ভার সাজিয়ে মন ভালো রাখছেন ঘরবন্দি মানুষ ৷ আর তাতেই বাড়ছে নার্সারিগুলির ব্যবসার বহর ৷ লক্ষ্মীলাভে কপাল ফিরছে মালিক ও কর্মচারীদের ৷ তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, সরকার যদি এই বিষয়ে আরও একটু নজর দেয়, তাহলে বেকার সমস্য়া সমাধানের অন্যতম উপায় হতে পারে নার্সারিগুলি ৷

হুগলি জেলার বলাগড়ে 500-রও বেশি নার্সারি রয়েছে ৷ এলাকার অন্তত 30 হাজার মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে ৷ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে আমজনতার মধ্যে গাছ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে ৷ তাঁদের চাহিদা পূরণ করতেই থাইল্যান্ড-সহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে ফল, ফুল ও বাহারি গাছ আমদানি করছেন নার্সারি মালিকরা ৷

আরও পড়ুন : করোনাকে তোয়াক্কা না করে শিবের টানে ভিড় তারকেশ্বরে

রমেন্দ্র মহন্ত নামে বলাগড়ের এক নার্সারি মালিক জানালেন, তাঁর কাছে 120 থেকে 130 প্রজাতির ক্যাকটাস আছে ৷ অন্তত 300 প্রজাতির অ্যাডেনিয়াম আছে ৷ গাছের তারতম্য অনুসারে এক-একটা চারা বিকোয় 100 থেকে 1000 টাকা দরে ৷ রমেন্দ্র বলেন, ‘‘একদিকে যখন অতিমারির দাপটে সমস্ত কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শিল্পতালুক ধুঁকছে, অন্যদিকে ঠিক তখনই ব্যবসা বাড়ছে নার্সারি মালিকদের ৷ এই ব্যবসার সঙ্গে অন্তত 30 হাজার মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন ৷ সকলেই যে নার্সারিতে কাজ করেন, তা নয় ৷ গাছে কলম করা থেকে বীজ কিংবা মাটির টব তৈরি করা, বিভিন্ন ধরনের মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে রয়েছে নার্সারিগুলির সঙ্গে ৷ গাছের চাহিদা বাড়ায় হাসি ফুটেছে এঁদের সকলের মুখে ৷’’

হুগলির নার্সারিগুলিতে বাড়ছে পসার

তবে সমস্য়াও আছে অনেক ৷ বিশেষ করে বিদেশ থেকে আমদানি বা বিদেশে গাছ রফতানি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ৷ এক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, পড়শি বাংলাদেশও ভারতের থেকে অনেক সহজে থাইল্যান্ড থেকে গাছ আমদানি করতে পারে ৷ সমস্য়া মেটাতে কৃষি ও উদ্যানপালন বিভাগের সহযোগিতা চাইছেন ব্যবসায়ীরা ৷ তাঁরা চাইছেন, গোটা প্রক্রিয়াটি যেন আরও সহজ, সরল করা হয় ৷

আরও পড়ুন : রাস্তায় ছবি এঁকে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার আরামবাগ পুলিশের

পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা দেবজ্যোতি সমাদ্দার বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ আমদানি ও রফতানি করেন ৷ দেবজ্যোতি জানান, থাইল্যান্ডে থেকে আনা ফল, ফুলের গাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্রি করার পাশাপাশি ভিন রাজ্য এমনকী ভিন দেশেও রফতানি করেছেন তিনি ৷ অসম, নেপাল, বাংলাদেশে গাছ পাঠিয়ে ভালোই লাভ হচ্ছে তাঁর ৷ লকডাউন পরিস্থিতিতে কিছুদিন ব্যবসা মার খেলেও এখন তা ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ৷ তবে অনেক সময় শুল্ক দফতরের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় গাছ সীমান্ত পার করাতে সমস্য়া হয় ৷ দেবজ্যোতির আর্জি, সরকার এই বিষয়টা দেখুক ৷ তাতে নার্সারি ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি হবে ৷ করোনা আবহে যাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদেরও বিকল্প রোজগারের হদিশ দেওয়া সম্ভব হবে ৷

হুগলি, 26 জুলাই : করোনা আবহে যখন একের পর এক ব্যবসায় ভাটার টান, ঠিক তখনই উলোট পুরাণ হুগলির নার্সারিগুলিতে ৷ মহামারিতে ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে চাহিদা বাড়ছে গাছের ৷ বাহারি অর্কিড থেকে ক্য়াকটাস ৷ কিংবা দেশি, বিদেশি ইনডোর প্লান্ট ৷ অথবা চেনা, অচেনা ফল, ফুলের গাছ ৷ বাগান, উঠোন, বাড়ির ছাদ থেকে ঘরের অন্দর, গাছের সম্ভার সাজিয়ে মন ভালো রাখছেন ঘরবন্দি মানুষ ৷ আর তাতেই বাড়ছে নার্সারিগুলির ব্যবসার বহর ৷ লক্ষ্মীলাভে কপাল ফিরছে মালিক ও কর্মচারীদের ৷ তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, সরকার যদি এই বিষয়ে আরও একটু নজর দেয়, তাহলে বেকার সমস্য়া সমাধানের অন্যতম উপায় হতে পারে নার্সারিগুলি ৷

হুগলি জেলার বলাগড়ে 500-রও বেশি নার্সারি রয়েছে ৷ এলাকার অন্তত 30 হাজার মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে ৷ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে আমজনতার মধ্যে গাছ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে ৷ তাঁদের চাহিদা পূরণ করতেই থাইল্যান্ড-সহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে ফল, ফুল ও বাহারি গাছ আমদানি করছেন নার্সারি মালিকরা ৷

আরও পড়ুন : করোনাকে তোয়াক্কা না করে শিবের টানে ভিড় তারকেশ্বরে

রমেন্দ্র মহন্ত নামে বলাগড়ের এক নার্সারি মালিক জানালেন, তাঁর কাছে 120 থেকে 130 প্রজাতির ক্যাকটাস আছে ৷ অন্তত 300 প্রজাতির অ্যাডেনিয়াম আছে ৷ গাছের তারতম্য অনুসারে এক-একটা চারা বিকোয় 100 থেকে 1000 টাকা দরে ৷ রমেন্দ্র বলেন, ‘‘একদিকে যখন অতিমারির দাপটে সমস্ত কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শিল্পতালুক ধুঁকছে, অন্যদিকে ঠিক তখনই ব্যবসা বাড়ছে নার্সারি মালিকদের ৷ এই ব্যবসার সঙ্গে অন্তত 30 হাজার মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন ৷ সকলেই যে নার্সারিতে কাজ করেন, তা নয় ৷ গাছে কলম করা থেকে বীজ কিংবা মাটির টব তৈরি করা, বিভিন্ন ধরনের মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে রয়েছে নার্সারিগুলির সঙ্গে ৷ গাছের চাহিদা বাড়ায় হাসি ফুটেছে এঁদের সকলের মুখে ৷’’

হুগলির নার্সারিগুলিতে বাড়ছে পসার

তবে সমস্য়াও আছে অনেক ৷ বিশেষ করে বিদেশ থেকে আমদানি বা বিদেশে গাছ রফতানি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ৷ এক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, পড়শি বাংলাদেশও ভারতের থেকে অনেক সহজে থাইল্যান্ড থেকে গাছ আমদানি করতে পারে ৷ সমস্য়া মেটাতে কৃষি ও উদ্যানপালন বিভাগের সহযোগিতা চাইছেন ব্যবসায়ীরা ৷ তাঁরা চাইছেন, গোটা প্রক্রিয়াটি যেন আরও সহজ, সরল করা হয় ৷

আরও পড়ুন : রাস্তায় ছবি এঁকে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার আরামবাগ পুলিশের

পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা দেবজ্যোতি সমাদ্দার বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ আমদানি ও রফতানি করেন ৷ দেবজ্যোতি জানান, থাইল্যান্ডে থেকে আনা ফল, ফুলের গাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্রি করার পাশাপাশি ভিন রাজ্য এমনকী ভিন দেশেও রফতানি করেছেন তিনি ৷ অসম, নেপাল, বাংলাদেশে গাছ পাঠিয়ে ভালোই লাভ হচ্ছে তাঁর ৷ লকডাউন পরিস্থিতিতে কিছুদিন ব্যবসা মার খেলেও এখন তা ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ৷ তবে অনেক সময় শুল্ক দফতরের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় গাছ সীমান্ত পার করাতে সমস্য়া হয় ৷ দেবজ্যোতির আর্জি, সরকার এই বিষয়টা দেখুক ৷ তাতে নার্সারি ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি হবে ৷ করোনা আবহে যাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদেরও বিকল্প রোজগারের হদিশ দেওয়া সম্ভব হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.