উত্তরপাড়া, 19 মে : করোনা পরীক্ষা হল একজনের ৷ কিন্তু রিপোর্ট এল দু'রকম ৷ এমনই অভিযোগ উঠল উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি ল্যাবের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ল্যাবটি ৷ ল্যাবটির বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ৷
হিন্দমোটরের বাসিন্দা ছবি দাস ৷ বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় 15 মে করোনা পরীক্ষা করা হয় সংশ্লিষ্ট ল্যাবটিতে ৷ 16 মে তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ দাসের মোবাইলে ম্যাসেজ আসে ৷ রিপোর্ট নেগেটিভ ৷ কিন্তু বাধ সাধল 18 মে রিপোর্টের হার্ডকপি আনতে গিয়ে ৷ লেখা রিপোর্ট পজ়েটিভ ৷ তা দেখে স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ৷ কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দায় এড়িয়েছে ল্যাবটি ৷ জানিয়েছে, কলকাতার ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ এবিষয়ে তারা কিছু জানে না ৷
অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "16 মে আমার ফোনে ম্যাসেজ আসে ৷ জানানো হয় যে স্ত্রীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ৷ কিন্তু তিনদিন পর যখন ওই ল্যাব থেকে রিপোর্ট আনতে যাই দেখি রিপোর্ট পজ়েটিভ ৷ আগে রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় স্বাভাবিকভাবেই আমার স্ত্রী কোনওরকম বিধিনিষেধ মানেননি ৷ এবার রিপোর্ট পজ়েটিভ দেখে দুশ্চিন্তা হচ্ছে ৷ "
আরও পড়ুন : শুভেন্দু সহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিচ্ছে সিবিআই
পৌরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদব বলেন," ঘটনার কথা আমার কানে এসেছে ৷ একই লোকের রিপোর্ট যদি একবার নেগেটিভ আর একবার পজ়েটিভ আসে , তা ভীষণ বিভ্রান্তিকর ৷ যাঁর পরীক্ষা হল তাঁকে যদি বলা হয় তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ তাহলে তিনি বাইরে বেরবেন, মেলামেশা করবেন ৷ এতে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয় ৷ আর যদি বলা হয় রিপোর্ট পজ়েটিভ, তাহলে তিনি ওষুধ খাবেন ৷ তাতে তাঁর ক্ষতির সম্ভাবনা আরও বাড়ে ৷ তাই বেসরকারি ল্যাবগুলির আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ৷ "
এবিষয়ে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত হবে ৷ দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷