চুঁচুড়া, 13 মার্চ: ডিওয়াইএফআই-এর জেলা পরিষদ অভিযান কর্মসূচিকে ঘিরে রণক্ষেত্র চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড় (Clash Between DYFI and Police) । উপস্থিত ছিলেন বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা-সহ রাজ্য নেতৃত্ব। যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি এদিন থাকতে পারেননি। এদিন বাম সমর্থকদের জমায়েত হয় ঘড়ির মোড় অঞ্চলে। ব্যারিকেড ভেঙে জেলা পরিষদ যাওয়ার চেষ্ঠা করতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। ধস্তাধস্তিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শান্ত বড়াল নামে এক বাম সমর্থক।তাঁকে চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, তিন জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই ব্যারিকেডের এক প্রান্তে বসে পড়েন বাম-সমর্থকরা। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেলে তিনি অনুপস্থিত থাকেন।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তারপরই নাম জড়ায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়েরর। তিনি গ্রেফতার হতেই তাঁর বিপুল সম্পত্তি সামনে এসেছে।অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে বিদ্যালয়ের চাকরি গিয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্যা টুম্পা মেটের। জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এদিন জেলা পরিষদ ঘেরাও করে ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ, মুর্শিদাবাদে ডিওয়াইএফআই-পুলিশের ধস্তাধস্তি
বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেন, "স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার ও জেলা পরিষদের সদস্য টুম্পা মেটে যার যার চাকরি গিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। এই বিপুল চুরির জন্য পশ্চিমবাংলা শান্তিপূর্ণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছি। এখানে এসে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আমাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। আমাদের অবস্থান এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে চলছে।" '
তিনি আরও বলেন, "এই দলদাস পুলিশ যতদিন না নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে। অবিলম্বে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের চার্জশিটে নাম রয়েছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। পশ্চিমবাংলায় ছোট থেকে বড় নেতা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ডেপুটেশন দিতে গিয়েও সভাধিপতিকে পাওয়া যায়নি।" হুগলি জেলার সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, "একশো দিনের কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করেনি।কেন্দ্রের জন্য বন্ধ হয়েছে। একশো দিনের ভাতা বেড়েছে রাজ্যের জন্য। যদি বলতে হয়, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতে হবে। জেলা পরিষদের কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। যদি কেউ ব্যক্তিগত দুর্নীতি করে তার জন্য দল যা ব্যবস্থা নেবে তাই হবে।"
আরও পড়ুন: শ্রমিক সংগঠনের দখল নিয়ে শাসকের গোষ্ঠীকোন্দল, আহত একাধিক