ব্যান্ডেল, 13 এপ্রিল : সাংসদ কোটায় পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার (Hooghly News) । ব্যান্ডেল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কয়েকশো আবেদন জমা পড়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে । সেই অনুযায়ী মাত্র 10 জনকে ভর্তির করা যাবে । তাই হুগলি বিজেপি সাংগঠনিক জেলা অফিসে লটারির মাধ্যমে 10 জন পড়ুয়ার বাছাই পর্ব চলে । তাঁকেই কটাক্ষ করেছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার । লকেট কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে বিজেপির পার্টি অফিসে নিয়ে চলে গিয়েছে বলে আক্রমণ করেন বিধায়ক । তবে লকেটের পাল্টা বক্তব্য, স্বচ্ছতার জন্যই এই লটারি ব্যবস্থা । হুগলির সংসদীয় এলাকার সকলের জন্যই এই ব্যবস্থা ।
ব্যান্ডেল রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তৈরি করা হয় । বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাংসদের কোটা রয়েছে 10টি । 150টি আবেদনপত্র হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ে । 150 জনের মধ্যে 10 জনকে বেছে নেওয়া খুব কঠিন কাজ । তাই, সাংসদ ঠিক করেন যে লটারি করে 10 জনকে সুযোগ দেওয়া হবে । সেইমতো, অভিভাবকরা মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় বিজেপির কার্যালয়ে উপস্থিত হন । অভিভাবকদের সামনেই লটারি করে 10 জনকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন : 'দিল্লির এইমসে ভাল চিকিৎসা হয়' পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ লকেটের
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "স্বচ্ছতা রাখতেই এই লটারি করার সিদ্ধান্ত । কারণ, 10 জনকে বেছে নেওয়া খুব কঠিন কাজ । আলাদা করে 10 জনকে সুযোগ দিলে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে । সেটা যাতে না হয় তাই লটারি করা হয়েছে । তাহলে কী তৃণমূল পার্টি অফিসে করব ।" তবে বিজেপি পার্টি অফিসে এই লটারি করাকে কটাক্ষ করে তৃণমূল । চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তো সরকারি স্কুল । তার জন্য লটারি বিজেপি অফিসে হবে কেন । এটার থেকেই বোঝা যাচ্ছে স্কুলে ভর্তির সুযোগের ক্ষেত্রে দলবাজি করার জন্যই এটা করা হয়েছে । বিজেপি দল কোনও আইন কানুন মানে না, লকেট তো ওদেরই লোক । আম গাছে জাম হয় না আমই হয় ।"