রিষড়া, 3 এপ্রিল: রবিবারের পর সোমবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির রিষড়া ৷ জানা গিয়েছে, এদিন ফের উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয় রিষড়া 4 নম্বর রেল গেট এলাকায় । এমনিতেই রিষড়ায় সকাল থেকে ফের উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল । রিষড়া পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডে ইট পাটকেল ছোড়া হয় । সেই সঙ্গে বিজেপির কাউন্সিলর মনোজ সাউয়ের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টহল বাড়াতে হয় ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল হুগলি গ্রামীণ পুলিশও ৷ তারপরেও এদিন রাতেও ফের রিষড়া 4 নম্বর রেল গেট জয়শ্রী টেক্সটাইলের কাছে একাধিকবার বোমাবাজি চলেছে । এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ৷ এদিন সকাল থেকে হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশের বিশাল বাহিনী রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেছে । পাশাপাশি টর্চ মেরে রাতের অন্ধকারে ওলি-গলিতে কোনও জমায়েত আছে কিনা তাও দেখা হয় । মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হচ্ছে বলে খবর । চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ সোমবারের ঘটনায় মোট 12 জনকে গ্রেফতার করেছে এখনও পর্যন্ত ৷
বিজেপির দাবি তল্লাশির নামে তাদের সমর্থকদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে সোমবার অশান্তি হয় রিষড়ায় ৷ সেই রেশ বজায় ছিল এদিনও ৷ এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেও সেখানে যেতে পারেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেন তিনি ৷ এই ঘটনা ও হাওড়ার শিবপুরের ঘটনা ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি ও তৃণমূল ৷ কেন পুলিশ অবস্থা সামাল দিতে পারছে না সেই প্রশ্নও উঠছে ৷ রিষড়ার ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: হাওড়া ও রিষড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে নাড্ডার ফোন, এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্তর