চন্দননগর (হুগলি), 19 মার্চ : বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মৃত যুবক (Chandannagar Youth Found Dead after he went with friend from his Home) । পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের । মৃতের নাম সুমন মাঝি (26) । বাড়ি হুগলির সুরেরপুকুর এলাকায় । পরিবারের দাবি, সুমনকে খুন করা হয়েছে । যে বন্ধুর সঙ্গে পোলবা রাজহাটে গিয়েছিলেন সুমন, সেই বন্ধু এখন বাড়িছাড়া । চন্দননগর এলাকাতেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না । ঘটনার দিন বন্ধুর গাড়ি রেখে নিজের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন সুমন । তাঁর বাড়িতেই হাবুল নামে ওই বন্ধুর সেই বাইক রাখা আছে ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার । সুমন বন্ধু হাবুল খানের সঙ্গে যান হুগলির রাজহাটে একটি হোটেলে ৷ সেখানে রাত পর্যন্ত থাকেন । সন্ধ্যার দিকে সুমনের মা ফোন করে ছেলেকে বাড়ি ফিরে আসতে বলেন । কিন্তু সুমন বাড়ি ফেরেননি ৷ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে অন্য এক বন্ধু খবর দেন যে সুমন চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন ।পরিবারের লোকজন সেখানে যান ৷ পরে সুমনকে ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ সেই সময় তাঁর মৃত্যু হয় ৷
পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় হাবুল কোনও খবর দেননি । পরিবারের সন্দেহ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে । এর সঙ্গে হাবুলই জড়িত । পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়বে । পোলবা থানায় লিখিতভাবে খুনের অভিযোগ করেছে পরিবার (Family Files Murder Case in Chandannagar Youth Death Case) । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ।
সুমনের মা অন্ন মাঝির প্রশ্ন, দুর্ঘটনা ঘটল, কিন্তু গাড়ির কিছু হল না, অথচ সুমনের গায়ে একাধিক কাটা দাগ এল কীভাবে ? তাঁর বন্ধু হাবুল কেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন না ? অন্যদিকে সুমনের বাবা সলিল মাঝি বলেন, সুমন বুধবার বাড়ি থেকে দুপুরে বের হন । তখন মদ্যপ ছিলেন । ওঁকে হাবুল বাড়ি থেকে নিয়ে যান । সুমনের গায়ে একাধিক ক্ষত রয়েছে ৷ পুলিশ হাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত দোষীকে ধরুক ।
প্রতিবেশীদের মতে ভালো ছেলে ছিলেন সুমন । একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । লোকের উপকার করতেন সবসময় । সংস্থার সঙ্গে সিকিম বাইক রাইডিংও করে এসেছেন । ভালোই গাড়ি চালাতে পারতেন । পুলিশ তদন্ত করুক । পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি । হাবুলই সব জানেন । হাবুল দু’রকম কথা বলছেন । বাড়ি ছেড়ে চলেও গিয়েছেন ।
প্রতিবেশীদের দাবি, হাবুলকে ফোন করা হলে তিনি জানান যে তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন ৷ সেদিন তিনি সুমনকে নিয়ে গেলেও অর্ধেক রাস্তায় নেমে যান ৷ তার পর আর সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি ৷ তাই প্রতিবেশীরা চান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল সত্যিটা তদন্ত করুক পুলিশ ।
আরও পড়ুন : Ambulance Driver Beaten in Chuchura : মদের টাকা না দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর