চন্দননগর, 12 ফেব্রুয়ারি: বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। চন্দননগর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায় তারা (BJP Agitation At Chandannagar)। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবিও তোলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে অবাধে ছাপ্পা ভোট চলছে তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন বিজেপি প্রার্থীরা ৷
হুগলির বিজেপি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের নেতৃত্বে 12 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কিরণ অধিকারীরা এই বিক্ষোভে সামিল হয়। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। 12 নম্বর এবং 27 নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ও তাঁর স্বামীকে মারধরের করে তৃণমূল কর্মীরা। সেইসঙ্গে গোটা চন্দননগর জুড়ে বেশকিছু বুথে ছাপ্পা ভোটেরও অভিযোগে তোলে বিজেপি। তারই প্রতিবাদে আজ মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন: চন্দননগরের 5 ও 6 নম্বর ওয়ার্ডে অশান্তি
27 নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দীপা চৌধুরীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গৌরহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 140 নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে ছবি তুলতে যান বিজেপি প্রার্থী। ঠিক তখনই তাঁকে চুলের মুঠি ধরে মারা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির তরফে তুষার মজুমদার বলেন, "ভোটের নামে সন্ত্রাস হয়েছে। আমাদের প্রার্থীদের মারধরও করা হয়। তাই, চন্দননগর মহকুমা অফিসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।" তৃণমূল শহর কংগ্রেসের সভাপতি মুন্না আগরওয়াল বলেন, "বিজেপি বুঝেছে বামেদের পরেও তাদের নাম থাকবে। কোথাও বিজেপি জিতবে না। তাই বুঝতে পেরে বিক্ষোভ করছে। কোথাও বিজেপির কোনও প্রার্থীকে মারধর করা হয়নি।"