তারকেশ্বর, 6 জুন: নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ বিরোধীর মধ্যে। আধঘণ্টা ধরে মন্দিরের মধ্যে কাউকে প্রবেশ দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি না-হওয়া সত্বেও এত আঁটো সাঁটো নিরাপত্তা কি প্রয়োজন প্রশ্ন বিরোধীদের। কোনও পুণ্যার্থী ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে তৃণমূলের দাবি, জ্ঞানহীনের মতো কথা বলছে বিজেপি। ওই সময়ে কেউ পুজো দেয় না। মন্দির বন্ধ থাকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রতিনিধিকেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রাস্তা ও মন্দির চত্ত্বরে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। মন্দিরের সামনের দোকানদারকে বেরোতে দিচ্ছেন না নিরাপত্তা রক্ষীরা।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুশান্ত বেড়া এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ তাঁর দাবি কীসের এত ভয়? তিনি নবজোয়ারে এসেছেন তাহলে এত নিরাপত্তা কেন। তিনি শুধুমাত্র একজন সাংসদ, রাষ্ট্রপতি বা মুখ্যমন্ত্রী নন। একজন সাংসদ মন্দিরে পুজো দেবে আর অন্যান্য পুণ্যার্থীরা তারা দীর্ঘক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবে, এটা হতে পারে না। একজন সাংসদ হয়ে তিনি কীভাবে এত নিরাপত্তা পান। জোয়ার না ভাটা সেটা জনগণ বিচার করবে। তার মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে পারত কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু এভাবে মানুষকে হয়রানি করা ঠিক নয়। মন্দির চত্বর 80 থেকে 100টা সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। জোয়ার না ভাটা সেটা জনগণ বিচার করবে।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টরে চেপে জনসংযোগ যাত্রা শেষে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন অভিষেক
যদিও তৃণমূলের তারকেশ্বর পৌরসভার চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডু বলেন, "বিজেপি নেতা সুশান্ত বেড়ার বক্তব্য জ্ঞানহীন। অভিষেকের নবজোয়ারে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে। সুশান্ত বেড়া থাকেন আরামবাগে। তিনি তারকেশ্বরের খবর কী করে জানবেন। পাগলের মতো বকছেন উনি।" মন্দিরের সেবাইত সন্দীপ চক্রবর্তী জানান, মন্দিরে সাধারণ ভক্তরা যেভাবে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেইভাবেই পুজো দিয়েছেন। ফুল, বেলপাতা, দুধ, ঘি, মধু, দই ইত্যাদি দিয়ে পুজো দিয়েছেন। দুপুর থেকে মন্দির চত্বর ফাঁকা থাকে এমনকী মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রাখা হয়। মন্দিরের চারপাশে সমস্ত লোকই ছিল ৷