পাণ্ডুয়া, 27 ডিসেম্বর : ম্যানেজারের সই জাল করে সমবায়ে প্রশাসক বসানোর অভিযোগ । তারই প্রতিবাদে সমবায়ের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ প্রতিবাদ ৷ হুগলির পাণ্ডুয়া এলাকার ঘটনা ৷ পাণ্ডুয়া ব্লকে দুটি সমবায় বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় আগেই ৷ নিয়ম অনুযায়ী ভোট করানো উচিত ৷ কিন্তু, বিজেপির অভিযোগ ভোট না করিয়ে শাসকদলের কিছু লোকজন নিজেদের লোকজন বসানোর ব্যবস্থা করে ৷ নিজেদের ইচ্ছা মতো লোককে এআরসিএস দ্বারা অনুমোদন দিয়ে সমবায় চালানো ব্যবস্থা করে । আর সেখানেই সমবায় বোর্ড পরিচালনার জন্য ম্যানেজারের সই জাল করার অভিযোগ তোলে বিজেপি ।
সই জালের অভিযোগ মানছেন বেড়েলা সমবায়ের ম্যানেজারও । তাঁর দাবি, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই সই জাল করে প্রশাসক বসানো হয়েছে । তিনি অবশ্য বিষয়টি এআরসিএস দপ্তরে জানিয়েছেন । তৃণমূলের পাণ্ডুয়া সভাপতি বলেন, ভোটের আগে প্রশাসক বসানো হয় । বিজেপি জানে না । নিয়ম মাফিক নির্দিষ্ট সময়ই ভোট করা হবে । অপরদিকে বিজেপির নেতা নবকুমার পাল বলেন, " দীর্ঘদিন হল বেড়েলা ও গড়াগড়ি সমবায় সমিতি মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে ৷ বর্তমানে এআরসিএস থেকে অফিসার নিয়োগ করে বোর্ড চালানো হচ্ছে ৷ গত দুই তিন দিন ধরে শোনা যাচ্ছে অনৈতিকভাবে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী দিয়ে পরিচালনা করা হবে ৷ এই সমবায়তে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে । এরা দুর্নীতিগ্রস্ত সমবায় সমিতিকে আবার চালাবার পরিকল্পনা করছে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট না করে নিজেরা প্রশাসক বসিয়ে দুর্নীতি করতে চাইছে ৷ আমরা চাই ভোট হোক । এখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে তৃণমূল ৷ হাইকোর্টে পর্যন্ত আমরা কেস করেছি ৷ কিন্তু সরকার সবকিছু চেপে এগিয়ে এসব করছে ।"
বেড়েলা সমবায়ের ম্যানেজার জয়দেব সিনহা বলেন, "আমার কাছে বোর্ড গঠন করার যে চিঠিটা এসেছে, তাতে ওই চিঠিতে সই আমার নয় । আগের বোর্ড মেয়াদ শেষ হওয়ার দরুন স্টাফ কমিটির বোর্ড করা হয়েছিল । এআরসিএস থেকে নমিনেশন করে বোর্ড করে দেওয়া হয়েছে । এখানে আমার কিছু বলার নেই । সরকার যা মনে করবে তাই হবে ।" তৃণমূলের পাণ্ডুয়ার ব্লক সভাপতি অসিত চ্যাটার্জি বলেন, "সই জালের ঘটনা ঘটেছে আমার মনে হয় না । সমবায় বোর্ড শেষ হওয়ার পর নমিনেটেড বোর্ড তৈরি করা হয় । যতক্ষণ না ভোট হচ্ছে এখানেও সরকারি বৈধতা নিয়ে বোর্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । বিজেপির জানা উচিত ছিল মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন হয় না । যদি বিজেপি মনে করে অন্যায় হয়েছে তাহলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তাঁরা । এআরসিএস-কে বলতে পারে, ডিআরসিএস-কে বলতে পারে । বিজেপি অশান্তি সৃষ্টি করে রাজনীতি করতে চাইছে । আমরা অবশ্যই ভোট চাইছি । কিন্তু গোটা পশ্চিমবাংলায় অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড সব জায়গাতেই তৈরি হয়েছে । গোটা ভারতে এবং পশ্চিমবাংলায় এই আইন আছে ।"