সিমলাগড়, 4 এপ্রিল : ভোট এলে রাজনৈতিক নেতাদের দেখা মেলে ৷ তারপর কেউ ঘুরেও তাকায় না ৷ প্রতিবারই ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি ৷ আজ পর্যন্ত তার কোনওটার মুখ দেখেননি হুগলির পাণ্ডুয়ার সিমলাগড়ের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ষষ্ঠীপুকুর পাড় এলাকা ৷ প্রতিবারের মতো এবার আর রাজনৈতিক নেতাদের কথায় ভুলতে নারাজ তারা ৷ ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন গ্রামের 50টি আদিবাসী পরিবার এবার ৷
পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তালবোনা ষষ্ঠী পুকুর পাড় এলাকায় 50 টি আদিবাসী পরিবারের বাস ৷ গ্রামে পানীয় জল থেকে রাস্তার হাল বেহাল ৷ এই একবিংশ শতাব্দীতেও বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ ৷ বার্ধক্য বা বিধবা ভাতা মেলেনি । বারবার স্থানীয় সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাণ্ডুয়া ব্লকে জানিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদিবাসীদের উন্নয়নের কথা বললেও এই গ্রামে তার ছিঁটেফোটাও নেই । তাই বাধ্য হয়ে এই ভোট বয়কট ।
ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখন থেকে দলীয় পতাকা লাগানো হয় গ্রাম থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় । কিন্তু সিমলাগড়ের ষষ্ঠী পুকুর পাড় এলাকায় নেই কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দেওয়াল লিখন করা হয়েছিল । তবে গ্রামবাসীরা সেই দেওয়াল লিখন মুছে দিয়েছে । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আছে ভোট যায় কিন্তু গ্রামের কোনও উন্নয়ন হয় না । ভোটের সময় দেখা মেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের । তবুও গ্রামের কোনো উন্নয়ন হয়নি । তাদের অভিযোগ, আমফানের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও কোনও সাহায্য পায়নি । পানীয় জলের কল বলতে দুটি টিউবওয়েল । গ্রাম থেকে অনেকটা দূর থেকে জল নিয়ে আসতে হয় ।
তবে উন্নয়ন হয়নি তা মানতে রাজি নন তৃণমূলের পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা ৷ তিনি বলেছেন, "ভোট বয়কট করেছে বলে আমার জানা নেই । দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে সকলকে বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে । তবে এমন যদি কিছু হয়ে থাকে আমরা অবশ্যই দেখব । মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ।"