গুড়াপ, 7 এপ্রিল : ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হুগলির গুড়াপ । এখানকার ফরিদপুর ও বেলতলার বিভিন্ন জায়গায় ভোট মিটতেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ শুরু হয়। গতরাত থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর, গাড়ি ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তোলে। ঘটনায় দু'পক্ষের কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপির কয়েকজন কর্মী ঘরছাড়া । আজ সকালেও বিজেপি কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ পিকেট রাখা হয়েছে। আহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ভোম্বল মালিক। তাঁর গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ৷ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
গতরাতে ওই ঘটনার পর আজ সকালেও উত্তেজনা ছড়ায় । বীরপুর মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়। ভোম্বল মালিকের অভিযোগ, গতকাল ভোটের সময় বুথের বাইরে বসে বুথ স্লিপ বিলি করছিলেন তিনি। সেই কারণে বিজেপির লোকেরা তাঁকে বাড়ি ফেরার সময় মারধর করে। পা ভেঙে দেয়। বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়, দুটি চার চাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল। বাড়ি ভাঙচুর করে। ধনিয়াখালি বিধানসভায় ভোট মিটতেই অশান্তি ছড়ানোয় পুলিশ টহল শুরু হয়েছে গ্রামে।
আরও পড়ুন-গাড়িতে একা থাকলেও পরতে হবে মাস্ক, নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের
স্থানীয় বিজেপি নেতা সন্দীপ মুখার্জির বক্তব্য়, তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। তাই ভোটের পরই তিনি ও তাঁর দলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, " গাড়ি ট্রাক্টর ভাঙচুর করেছে । মহিলাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী রাত তিনটে পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা বারবার পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি । এরপরও যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে আর আমরা বসে থাকব না।"
তৃণমূল নেতা মহম্মদ হানিফ বলেন, "ওরা বুঝতে পেরেছে, ওরা ভোট পাবে না। তাই আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। সারাদিন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল করার অপরাধে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। ওদের দাবি মোদির দেশে থাকতে গেলে তৃণমূল করা যাবে না। তার জন্যই এই ঘটনা ঘটছে।"