ETV Bharat / state

Durga Puja 2022: আজানের সঙ্গেই শুরু হয় দেবীর আরাধনা, সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভালিয়ার সরকার বাড়ির দুর্গোৎসব

350 বছর আগে আরামবাগের ভালিয়ার বাবুরাম সরকার (Sarkar Bari Durga Puja of Valia) তাঁর জমিদারিতে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন ৷ যে পুজো শুরু হয় ভোরের প্রথম আজানের পর ৷ জানা যায়, সেই জমিদারির অধিকাংশ প্রজাই ছিলেন মুসলমান ৷ প্রগতিশীল ভাবধারার বাবুরাম সরকার তাই আজান শেষে দুর্গাপুজো শুরুর নিয়ম চালু করেছিলেন (Example of Communal Harmony) ৷ আর দুর্গামণ্ডপেই নমাজ পড়ার রীতিও চালু করেন ৷ যা আজও বর্তমান ৷

durga-puja-2022-sarkar-bari-durga-puja-of-valia-arambag-a-unique-example-of-communal-harmony
durga-puja-2022-sarkar-bari-durga-puja-of-valia-arambag-a-unique-example-of-communal-harmony
author img

By

Published : Sep 7, 2022, 6:14 PM IST

আরামবাগ, 7 সেপ্টেম্বর:‌ দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদারহণ গ্রাম বাংলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৷ তেমনই একটি হল আরামবাগের ভালিয়ার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো (Sarkar Bari Durga Puja of Valia) ৷ সাড়ে তিনশো বছর ধরে সপ্তমীতে এই পুজো শুরু হয় নমাজের আজান শুরুর সঙ্গে ৷ আর নমাজ পড়া শেষ হলে শুরু হয় আরতি ৷ আরও বড় বিষয় পুজো শুরু আগেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপেই এখানে নমাজ পাঠ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ৷

350 বছর আগে আরামবাগের ভালিয়া এলাকার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন জমিদার বাবুরাম সরকার ৷ জানা যায়, তাঁর জমিদারিতে অধিকাংশ প্রজাই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের ৷ আর বাবুরাম সরকার নিজে ছিলেন প্রগতিশীল ভাবধারার ৷ তাই একে অপরের সংস্কৃতিকে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন ৷ হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ই মিলেমিশে দুর্গাপুজোর আয়োজন করত (Example of Communal Harmony) ৷ যা একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ চিন্তা করতে পারত না, তা সাড়ে তিনশো বছর আগে করে দেখিয়েছিলেন বাবুরাম সরকার ৷ সেই রীতি আজও বর্তমান ৷

সেই থেকে সপ্তমীর দিন নমাজের আজান শুরু হলে পুজো শুরু হয় সরকার বাড়িতে ৷ আর অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে ভোরের প্রথম আজান শেষ হওয়ার পরেই দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন সরকার বাড়ির সদস্যরা ৷ আর পুজো শুরুর আগে মণ্ডপেই নমাজ পড়ার রীতি রয়েছে সরকারদের দুর্গাপুজোয় ৷ গত 30 বছর ধরে পুজো শুরু আগে শেখ মতলেব নামে এক ব্যক্তি মণ্ডপে নমাজ পাঠ করেন ৷ সরকার পরিবার পুরনো সেই সব রীতি আজও পালন করে আসছেন ৷ এ নিয়ে সরকার বাড়ির এক সদস্য জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষরা যে সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করেছিলেন ৷ সেটাকে বজায় রাখাই বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্ব ৷

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভালিয়ার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো

আরও পড়ুন:‌ নাড়াজোল রাজবাড়ির 610 বছরের দুর্গাপুজো, মায়ের আরাধনায় ব্রাত্য মহিলারাই

সরকারদের পুজোয় আজও বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে ৷ সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী, এই তিনদিনই পাঁঠাবলি হয় ৷ এর মধ্যে অষ্টমীর দিন বলি হয় কালো পাঁঠা ৷ এ ছাড়াও পুজোর রীতি মেনে দশমীর দিন চ্যাং মাছ বলি দেওয়া হয় ৷ 108টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সন্ধিপুজোর আয়োজন করা হয় ৷ আর এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকে পরিবারের মহিলারা ৷ সব মিলিয়ে আরামবাগের ভালিয়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন সরকার বাড়ির দুর্গাপুজোতে আজও অটুট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন ৷

আরামবাগ, 7 সেপ্টেম্বর:‌ দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদারহণ গ্রাম বাংলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৷ তেমনই একটি হল আরামবাগের ভালিয়ার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো (Sarkar Bari Durga Puja of Valia) ৷ সাড়ে তিনশো বছর ধরে সপ্তমীতে এই পুজো শুরু হয় নমাজের আজান শুরুর সঙ্গে ৷ আর নমাজ পড়া শেষ হলে শুরু হয় আরতি ৷ আরও বড় বিষয় পুজো শুরু আগেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপেই এখানে নমাজ পাঠ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ৷

350 বছর আগে আরামবাগের ভালিয়া এলাকার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন জমিদার বাবুরাম সরকার ৷ জানা যায়, তাঁর জমিদারিতে অধিকাংশ প্রজাই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের ৷ আর বাবুরাম সরকার নিজে ছিলেন প্রগতিশীল ভাবধারার ৷ তাই একে অপরের সংস্কৃতিকে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন ৷ হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ই মিলেমিশে দুর্গাপুজোর আয়োজন করত (Example of Communal Harmony) ৷ যা একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ চিন্তা করতে পারত না, তা সাড়ে তিনশো বছর আগে করে দেখিয়েছিলেন বাবুরাম সরকার ৷ সেই রীতি আজও বর্তমান ৷

সেই থেকে সপ্তমীর দিন নমাজের আজান শুরু হলে পুজো শুরু হয় সরকার বাড়িতে ৷ আর অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে ভোরের প্রথম আজান শেষ হওয়ার পরেই দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন সরকার বাড়ির সদস্যরা ৷ আর পুজো শুরুর আগে মণ্ডপেই নমাজ পড়ার রীতি রয়েছে সরকারদের দুর্গাপুজোয় ৷ গত 30 বছর ধরে পুজো শুরু আগে শেখ মতলেব নামে এক ব্যক্তি মণ্ডপে নমাজ পাঠ করেন ৷ সরকার পরিবার পুরনো সেই সব রীতি আজও পালন করে আসছেন ৷ এ নিয়ে সরকার বাড়ির এক সদস্য জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষরা যে সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করেছিলেন ৷ সেটাকে বজায় রাখাই বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্ব ৷

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভালিয়ার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো

আরও পড়ুন:‌ নাড়াজোল রাজবাড়ির 610 বছরের দুর্গাপুজো, মায়ের আরাধনায় ব্রাত্য মহিলারাই

সরকারদের পুজোয় আজও বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে ৷ সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী, এই তিনদিনই পাঁঠাবলি হয় ৷ এর মধ্যে অষ্টমীর দিন বলি হয় কালো পাঁঠা ৷ এ ছাড়াও পুজোর রীতি মেনে দশমীর দিন চ্যাং মাছ বলি দেওয়া হয় ৷ 108টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সন্ধিপুজোর আয়োজন করা হয় ৷ আর এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকে পরিবারের মহিলারা ৷ সব মিলিয়ে আরামবাগের ভালিয়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন সরকার বাড়ির দুর্গাপুজোতে আজও অটুট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.