ETV Bharat / state

Local Train Style Anganwadi Center : সিঙ্গুরে লোকাল ট্রেনের আদলে তৈরি অঙ্গনওয়ারি সেন্টার - Local Train Style Anganwadi Center

শিশুদের স্কুলমুখী করতে মধুসূদনপুরে 244 নম্বর অঙ্গনওয়ারি সেন্টারটি তৈরি করা হল ট্রেনের আদলে (Local Train Style Anganwadi Center in Singur) ৷ এমনকি সেন্টারে থাকছে সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা ৷

Singur News
লোকাল ট্রেনের আদলে অঙ্গনওয়ারি সেন্টার
author img

By

Published : Mar 30, 2022, 10:51 PM IST

সিঙ্গুর, 30 মার্চ : ট্রেনের আদলে তৈরি হয়েছে আস্ত একটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার (Local Train Style Anganwadi Center in Singur) । সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকছে এই সেন্টারে । শিশুদের স্কুলমুখী করতে এই উদ্যোগ নিল বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত । শিক্ষার অনুকরণেই মধুসূদনপুরে 244 নম্বর অঙ্গনওয়ারি সেন্টারটি করা হয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, আগে একটি স্থানীয় ক্লাবের এই অঙ্গনওয়ারি সেন্টার চলত। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা সেরকম ছিল না। পড়াশোনার পরিবেশও থাকত না। তার উপর করোনায় ও লকডাউনের ফলে স্কুলছুট হচ্ছে অনেক জায়গায় শিশুরা। নতুন করে শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সেন্টারটিকে। ট্রেনের মতই লাইট, হর্ন, ড্রাইভারের জায়গা। গাড়িরই নম্বরের বিশেষ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে জানলাগুলোকে ট্রেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। দূর থেকে মনে হবেই একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। যা দেখে শিশুরা খুবই খুশি। বর্তমানে এই স্কুলে 44 জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার জন্য আসে। আশা করা হচ্ছে আগামী দিনে কোনওভাবেই স্কুল ছুট হবে না এই শিশুরা। এই সেন্টারের ভিতর দিকে ছোটা ভিম চুটকি-সহ একাধিক কার্টুন চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। শিশুরা যাতে পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে পারে দেওয়ালে আঁকা হয়েছে বর্ণপরিচয় অক্ষর থেকে ইংরেজি অক্ষর সব কিছুই থাকছে এই লোকাল ট্রেনে। তার মধ্যেই থাকছে বাথরুম। রান্নার জায়গা। এই ধরনের ট্রেন দেখে অভিভাবক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই উচ্ছ্বসিত। আর এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার উদ্বোধন করেছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

সিঙ্গুরে তৈরি অঙ্গনওয়ারি সেন্টার

আরও পড়ুন : লকডাউন ভেঙে চাল, আলু বিতরণের অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে

এ বিষয়ে বেচারাম মান্না বলেন, "ট্রেনের আদলে এই অঙ্গনওয়ারি সেন্টার হওয়ায় খেলার ছলে শিশুরা পড়াশোনা করতে পারবে। ট্রেনের কামরায় পড়াশোনার একটা আলাদা অনুভুতি পাবে তারা। এতে শিশুরাও উৎসাহিত হবে।"

পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধাড়া জানান, এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের 8 লাখ 79 হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে ৷ এছাড়াও সৌরশক্তি চালিত আলো পাখার ব্যবস্থা এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতেও পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট ও আগ্রহ বাড়ছে শিশুদের।

এই সেন্টারের অঙ্গনওয়ারি কর্মী রিমা সাঁতরা বলেন, "শিশুদের পড়াশোনার ভীতি থাকে ৷ এই স্কুলে এসে সেই ভীতি চলে যাবে। এখানে পড়াতে শিশুদের মায়েরাও খুশি। আগে ক্লাবে অঙ্গনওয়ারি সেন্টার চলত। সেই জায়গায় নতুন স্কুল পেয়ে স্কুলছুট হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না শিশুদের মধ্যে।"

সিঙ্গুর, 30 মার্চ : ট্রেনের আদলে তৈরি হয়েছে আস্ত একটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার (Local Train Style Anganwadi Center in Singur) । সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকছে এই সেন্টারে । শিশুদের স্কুলমুখী করতে এই উদ্যোগ নিল বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত । শিক্ষার অনুকরণেই মধুসূদনপুরে 244 নম্বর অঙ্গনওয়ারি সেন্টারটি করা হয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, আগে একটি স্থানীয় ক্লাবের এই অঙ্গনওয়ারি সেন্টার চলত। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা সেরকম ছিল না। পড়াশোনার পরিবেশও থাকত না। তার উপর করোনায় ও লকডাউনের ফলে স্কুলছুট হচ্ছে অনেক জায়গায় শিশুরা। নতুন করে শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সেন্টারটিকে। ট্রেনের মতই লাইট, হর্ন, ড্রাইভারের জায়গা। গাড়িরই নম্বরের বিশেষ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে জানলাগুলোকে ট্রেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। দূর থেকে মনে হবেই একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। যা দেখে শিশুরা খুবই খুশি। বর্তমানে এই স্কুলে 44 জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার জন্য আসে। আশা করা হচ্ছে আগামী দিনে কোনওভাবেই স্কুল ছুট হবে না এই শিশুরা। এই সেন্টারের ভিতর দিকে ছোটা ভিম চুটকি-সহ একাধিক কার্টুন চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। শিশুরা যাতে পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে পারে দেওয়ালে আঁকা হয়েছে বর্ণপরিচয় অক্ষর থেকে ইংরেজি অক্ষর সব কিছুই থাকছে এই লোকাল ট্রেনে। তার মধ্যেই থাকছে বাথরুম। রান্নার জায়গা। এই ধরনের ট্রেন দেখে অভিভাবক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই উচ্ছ্বসিত। আর এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার উদ্বোধন করেছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

সিঙ্গুরে তৈরি অঙ্গনওয়ারি সেন্টার

আরও পড়ুন : লকডাউন ভেঙে চাল, আলু বিতরণের অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে

এ বিষয়ে বেচারাম মান্না বলেন, "ট্রেনের আদলে এই অঙ্গনওয়ারি সেন্টার হওয়ায় খেলার ছলে শিশুরা পড়াশোনা করতে পারবে। ট্রেনের কামরায় পড়াশোনার একটা আলাদা অনুভুতি পাবে তারা। এতে শিশুরাও উৎসাহিত হবে।"

পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধাড়া জানান, এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের 8 লাখ 79 হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে ৷ এছাড়াও সৌরশক্তি চালিত আলো পাখার ব্যবস্থা এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতেও পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট ও আগ্রহ বাড়ছে শিশুদের।

এই সেন্টারের অঙ্গনওয়ারি কর্মী রিমা সাঁতরা বলেন, "শিশুদের পড়াশোনার ভীতি থাকে ৷ এই স্কুলে এসে সেই ভীতি চলে যাবে। এখানে পড়াতে শিশুদের মায়েরাও খুশি। আগে ক্লাবে অঙ্গনওয়ারি সেন্টার চলত। সেই জায়গায় নতুন স্কুল পেয়ে স্কুলছুট হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না শিশুদের মধ্যে।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.