শ্রীরামপুর, 22 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আবহে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব । শ্রীরামপুর মহিলা থানায় OC বর্ণালী গাঙ্গুলি ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেন । গত 16 সেপ্টেম্বর শেওড়াফুলির BJP-র কর্মসূচিতে ডিউটি করেন OC । বাড়ি ফিরে তাঁর জ্বর আসে । রক্ত পরীক্ষায় NS 1 ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া যায় । বর্তমানে বর্ণালী দেবী চুঁচুড়া পুলিশ কোয়ার্টারে থেকেই চিকিংসা করাচ্ছেন । তবে কোথা থেকে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন সেটা পরিষ্কার নয় । যদিও পৌরসভাগুলি থেকে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনা ও অভিযান চালালেও তা কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে সেটাই নিয়ে ও প্রশ্ন উঠছে ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কোরোনার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে আগেই । শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চন্দননগর-সহ বেশ কয়েকটি পৌরসভা এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু ভীষণ আকার নিয়েছিল । পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় । শ্রীরামপুরে ডেঙ্গু সংক্রমণের পর থেকেই মশা মারতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় । যদিও চলতি বছর সেভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মেলেনি । পৌরসভার পক্ষ থেকে গাপ্পি মাছ ছাড়া,পাড়ায় পাড়ায় কীটনাশক স্প্রে করা, জল জমা ঠেকাতে লাগাতার প্রচারের সুফল পেয়েছে পৌরসভা, দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের ।
শ্রীরামপুর পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সন্তোষ সিং বলেন, "পৌরমন্ত্রী ববি হাকিমের নির্দেশ মতো আমরা কাজ করছি । মহিলা থানার পুলিশ আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন সেটা দেখতে হবে কোথা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন । কারণ তিনি এখানে কাজ করলেও বাস করেন অন্য জায়গায় । ডেঙ্গুর জন্য আমরা সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছি । তাছাড়া ডেঙ্গুর জন্য কীটনাশক স্প্রে ও বিভিন্ন নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা করেছি । আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করা হচ্ছে ।"
এবিষয়ে ডেপুটি CMOH 2 অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, "গত বারের তুলনায় এবছরে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কম । এখনও পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে একশোর বেশি আক্রান্ত জেলায় । বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মী যাচ্ছে সচেতনতার কাজ করছেন । তাছাড়া সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।"