চন্দননগর, 29 অক্টোবর: ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস থেকে সব ক্ষেত্রেই আধার কার্ড অপরিহার্য । সরকারি ক্ষেত্রে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিভিন্ন সময় এই আধার কার্ড আপটেডের নামে ফাঁদে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চন্দননগরের এক কম্পিউটার সেন্টারের বিরুদ্ধে অন্যের আইডি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে বেআইনিভাবে আধার আপডেট করে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় শনিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই চক্র চালাচ্ছিল এক ব্যক্তি । আধার অফিসে ইউডিএআই (UDAI) এর ডিরেক্টরের কাছে অভিযোগ আসা মাত্রই চন্দননগর কমিশনারেটে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয় । এরপরই তদন্তে নামে চন্দননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ । সেই কম্পিউটার সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ ও হার্ড ডিস্ক-সহ বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ । এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সেন্টারের মালিক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তবে যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে এই কারবার চলছিল তার কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ।
সম্প্রতি আধার এনাবেল পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে আঙুলের ছাপ দিয়ে সাইবার ক্রাইমের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। অনেকেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিযোগ হচ্ছে সাইবার ক্রাইম বিভাগে । এই বিষয়ে সাইবার থানার ইন্সপেক্টর গৌতম সাহা জানান, চন্দননগরের একটি কম্পিউটার সেন্টার অন্যের আইডি ব্যবহার করে বেশি টাকা নিয়ে আধার সংশোধন করছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: হাতের আঙুলের সমস্যায় হয়নি আধার! প্যারালিগাল ভলান্টিয়ারের হস্তক্ষেপে আঁধার কাটল পরীক্ষার্থীর
তাঁর কথায়,"তদন্ত শুরু করতেই চন্দননগর কোর্ট মোড়ের কাছে এই কম্পিউটার সেন্টারের খোঁজ পাই আমরা। এখানে কম্পিউটার শেখানো হয়। আধার কার্ড আপডেট-সহ প্যানকার্ডেরও কাজ হয়। সেন্টারের মালিক অনুপ ঘোষ অন্যের আইডি ব্যবহার করে এই কাজ করছিলেন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে পারেননি । এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।"
নিয়ম অনুযায়ী, নতুন আধার কার্ডের আবেদন করলে কোনও টাকা দিতে হয় না। সংশোধন বা আপডেট করতে গেলে 50 টাকা লাগে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি 250-300 টাকা করে নিচ্ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। ওই কম্পিউটার সেন্টারের ল্যাপটপ হার্ড এবং ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কম্পিউটার সেন্টারের মালিককে গ্রেফতারের পর তাঁকে জেরা করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আউট সোর্সিংয়ে কাজ করা এক কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয় । এই ঘটনায় বৈদ্যবাটি থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয় ।
এই তিনজনের কারও আধার আপডেট করার রেজিস্টার্ড আইডি ছিল না। UDAI কর্তৃপক্ষের দেওয়া রেজিস্টার্ড আইডি ছাড়া এই কাজ করা যায় না। আর তার জন্য সরকারি ধার্য করা অর্থই নেওয়া যায়। বাড়তি টাকা নেওয়া বেআইনি। চন্দননগরের ওই কম্পিউটার সেন্টারের বিরুদ্ধে সেই বাড়তি টাকা নেওয়ারই অভিযোগ থাকায় এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। যার আইডি ব্যবহার করা হয়েছে তার খোঁজ করছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন : 7 বছর আগে হারানো 2 সন্তানকে বাবা-মায়ের কাছে ফেরাল আধার কার্ড