ETV Bharat / state

Sola Industry: দুর্গাপুজোর আগে ধুঁকছে রাজ্যের শোলা শিল্প, ম্লান ঐতিহ্যের ডাকের সাজ - শোলা শিল্প

ডাকের সাজের চাহিদা রয়েছে কিন্তু নেই পরিমাণ মতো শোলা ৷ নেই শিল্পীও ৷ পর্যাপ্ত পারিশ্রমিকের অভাবে এই কাজ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অনেকেই ৷ কিন্তু সরকারি সাহায্য পেলে ধুঁকতে থাকা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে দাবি করেছেন শিল্পীরা ৷

Sola Industry
চাহিদা থাকলেও ধুঁকছে শোলা শিল্পের কাজ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 28, 2023, 8:37 PM IST

ধুঁকছে রাজ্যের শোলা শিল্প

হুগলি, 28 সেপ্টেম্বর: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে খুব বেশিদিন দেরি নেই ৷ কুমোরটুলি থেকে শুরু করে পুজোকে ঘিরে সকল শিল্পীরা ব্যস্ত ৷ থিমের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেবী উমার সাবেকি সাজ আকৃষ্ট করে সকলকে ৷ সাবেকিআনায় ডাকের সাজ অন্যতম ৷ সেই ডাকের সাজ বা শোলার সাজ তৈরির সঙ্গে যে সকল শিল্পী যুক্ত, পুজোর আবহ এলেও তাঁদের মুখে হাসি নেই ৷ কাঁচা শোলার ও শিল্পীর অভাবে বর্তমানে ধুঁকছে এই শিল্প ৷

হুগলির কাটোয়ার বন কাপাশি মালাকার গ্রামের কয়েকশো পরিবার শোলা শিল্পর সঙ্গে যুক্ত। শিল্পী প্রসাদ কুমার ঘোষ বলেন
"সরকারি ভাবে আর্থিক ঋণ দিয়ে সরকার সহযোগিতা করলে খুব ভালো হয়। এবছর বৃষ্টির অভাবে কাঁচা শোলার জোগানে খুব সমস্যা রয়েছে। নতুন শোলা এখনও আসেনি। গতবারের শক্ত শোলা দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহী নয়। অন্য জায়গায় কাজে চলে যাচ্ছে। নতুন করে শিল্পী তৈরি হচ্ছে না।"

সিঙ্গুরে চার প্রজন্ম ধরে শোলার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রথিন মালাকার। তিনিও দুর্গা-কালীর ডাকের সাজের কাজ করে থাকেন।তিনি বলেন, "পরবর্তী প্রজন্মের আর কেউ এই কাজে আগ্রহী নয়। এই কাজ করে খাওয়া-পড়া ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না।পরিবারের সকলে মিলে কাজ করি। সরকারি তরফে সাহায্য সহযোগিতা কিছু পাই না। কৃষক ও তাঁতিদের যেমন সরকারিভাবে সাহায্য করা হয় তেমন যদি আমাদের করা হয়, তাহলে এই শিল্পটা বেঁচে যায় ৷ আমরা বাঁচি ৷"

শিল্পী পঙ্কজ মালাকার জানান, যে হারে মজুরি বেড়েছে, শোলার কাজ করিয়ে লাভ হচ্ছে না। বর্তমানে শোলাও ঠিক ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। আগে শ্রীরামপুর ডানকুনির জলা জমিতে কাঁচা শোলা হত। এখন জমি ভরাটের কারণে কাঁচা শোলার অভাব দেখা দিয়েছে। চাষের শোলা নিয়ে কদমফুল তৈরি করে দামে পোষানো যাবে না। এই শিল্পে যা পরিস্থিতি এতে সংসার চলে না।

আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ার তাঁত শিল্প, জায়গা নিচ্ছে পাওয়ার লুম

রঙিন জরি প্লাস্টিকের সাজ তৈরির ফলে কিছুটা মার খেয়েছে সাবেকি শোলার সাজ। যদিও শিল্পীদের দাবি, বাজারে এখনও চাহিদা রয়েছে এই সাদা শোলার সাজের। হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া জুড়ে বহু শিল্পী এই শোলার সাজ তৈরি করে থাকেন ৷ এমনকী, অসম, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় এই সাজ। এই শোলা কারুকাজের উপর সরকারি বেসরকারি নানা মেলাও হয়। কিন্তু সেভাবে সরকারি সাহায্য পান না শিল্পীরা। শিল্পীদের দাবি দুর্গা, কালি ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতিমায় ডাকের সাজের চাহিদা রয়েছে। সরকারিভাবে ঋণ ও আর্থিক সাহায্য পেলে অনায়াসেই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

ধুঁকছে রাজ্যের শোলা শিল্প

হুগলি, 28 সেপ্টেম্বর: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে খুব বেশিদিন দেরি নেই ৷ কুমোরটুলি থেকে শুরু করে পুজোকে ঘিরে সকল শিল্পীরা ব্যস্ত ৷ থিমের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেবী উমার সাবেকি সাজ আকৃষ্ট করে সকলকে ৷ সাবেকিআনায় ডাকের সাজ অন্যতম ৷ সেই ডাকের সাজ বা শোলার সাজ তৈরির সঙ্গে যে সকল শিল্পী যুক্ত, পুজোর আবহ এলেও তাঁদের মুখে হাসি নেই ৷ কাঁচা শোলার ও শিল্পীর অভাবে বর্তমানে ধুঁকছে এই শিল্প ৷

হুগলির কাটোয়ার বন কাপাশি মালাকার গ্রামের কয়েকশো পরিবার শোলা শিল্পর সঙ্গে যুক্ত। শিল্পী প্রসাদ কুমার ঘোষ বলেন
"সরকারি ভাবে আর্থিক ঋণ দিয়ে সরকার সহযোগিতা করলে খুব ভালো হয়। এবছর বৃষ্টির অভাবে কাঁচা শোলার জোগানে খুব সমস্যা রয়েছে। নতুন শোলা এখনও আসেনি। গতবারের শক্ত শোলা দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহী নয়। অন্য জায়গায় কাজে চলে যাচ্ছে। নতুন করে শিল্পী তৈরি হচ্ছে না।"

সিঙ্গুরে চার প্রজন্ম ধরে শোলার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রথিন মালাকার। তিনিও দুর্গা-কালীর ডাকের সাজের কাজ করে থাকেন।তিনি বলেন, "পরবর্তী প্রজন্মের আর কেউ এই কাজে আগ্রহী নয়। এই কাজ করে খাওয়া-পড়া ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না।পরিবারের সকলে মিলে কাজ করি। সরকারি তরফে সাহায্য সহযোগিতা কিছু পাই না। কৃষক ও তাঁতিদের যেমন সরকারিভাবে সাহায্য করা হয় তেমন যদি আমাদের করা হয়, তাহলে এই শিল্পটা বেঁচে যায় ৷ আমরা বাঁচি ৷"

শিল্পী পঙ্কজ মালাকার জানান, যে হারে মজুরি বেড়েছে, শোলার কাজ করিয়ে লাভ হচ্ছে না। বর্তমানে শোলাও ঠিক ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। আগে শ্রীরামপুর ডানকুনির জলা জমিতে কাঁচা শোলা হত। এখন জমি ভরাটের কারণে কাঁচা শোলার অভাব দেখা দিয়েছে। চাষের শোলা নিয়ে কদমফুল তৈরি করে দামে পোষানো যাবে না। এই শিল্পে যা পরিস্থিতি এতে সংসার চলে না।

আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ার তাঁত শিল্প, জায়গা নিচ্ছে পাওয়ার লুম

রঙিন জরি প্লাস্টিকের সাজ তৈরির ফলে কিছুটা মার খেয়েছে সাবেকি শোলার সাজ। যদিও শিল্পীদের দাবি, বাজারে এখনও চাহিদা রয়েছে এই সাদা শোলার সাজের। হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া জুড়ে বহু শিল্পী এই শোলার সাজ তৈরি করে থাকেন ৷ এমনকী, অসম, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় এই সাজ। এই শোলা কারুকাজের উপর সরকারি বেসরকারি নানা মেলাও হয়। কিন্তু সেভাবে সরকারি সাহায্য পান না শিল্পীরা। শিল্পীদের দাবি দুর্গা, কালি ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতিমায় ডাকের সাজের চাহিদা রয়েছে। সরকারিভাবে ঋণ ও আর্থিক সাহায্য পেলে অনায়াসেই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.