উত্তরপাড়া, 17 অক্টোবর : অনলাইন কনসালটেন্সি ওয়েবসাইটে ভুয়ো চাকরির ফাঁদে পড়ল এক যুবক । নাম সপ্তর্ষি সামন্ত । তিনি উত্তরপাড়া ভদ্রকালীর বাসিন্দা । লকডাউনে চাকরি চলে যায় তাঁর । তারপর থেকে বাড়িতেই বসে । বেসরকারী সংস্থায় সফটওয়্যার প্রজেক্ট এর উপরে কাজ করতেন তিনি ।
কয়েকদিন আগে অনলাইন কনসালটেন্সি ওয়েবসাইটে তাঁর CV-সহ প্রফাইল আপলোড করেন সপ্তর্ষি সামন্ত । সংস্থা তাঁর ইন্টারভিউ নেয় অনলাইনে । টেক মাহিন্দ্রায় চাকরির জন্য সিলেকশনও হয় । রেজিস্ট্রেশন, পুলিশ ভেরিফিকেশন বাবদ টাকা নিয়ে তার রসিদও দেয় । পরে মেল মারফত অফার লেটার পাঠিয়ে দিয়ে বলে একটা নিজস্ব ID তৈরি করতে হবে । তার থেকে এক লাখ 49 হাজার টাকা নেওয়া হয় । যা ফেরতযোগ্য বলেও তিনিও দিতে দ্বিধা করেননি । কয়েক মাস ধরে চাকরি পেতে মরিয়া সপ্তর্ষি ধাপে ধাপে মোট এক লাখ 99 হাজার টাকা দেন ।
এর পরে NEFT করে টাকা ফেরত দেবে বললেও টাকা ফেরত দেয়নি ওই সংস্থা । বর্তমানে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না কাউকে । তিনি বুঝতে পারেন তিনি এক লাখ 99 হাজার টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন । তাই উত্তরপাড়া ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন ।
সপ্তর্ষি সামন্ত বলেন, "কনসালটেন্সি ওয়েবসাইটে অনলাইনে পরীক্ষা দেয়ার পরই আমি সিলেক্ট হই । সেই সঙ্গে আমার অফার আসে । সেই সময় আমাকে ফোন করে বলা হয় রেজিস্ট্রেশনের জন্য । আড়াই হাজার টাকা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হবে । তারপর অফার লেটার আসে । তারপর ফোনে করে বলা হয় ID করার জন্য এক লাখ 49 হাজার টাকা লাগবে । এবং দ্বিতীয়বার আমার সন্দেহ হলেও টাকা দিতে হয় । কারণ চার পাঁচ মাস ধরে লকডাউনে আমি বাড়িতে বসেছিলাম । আগেই চাকরি চলে যায় । এই চাকরিটা আমার কাছে খুবই জরুরি ছিল । যেহেতু টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয় ছিল । তাই NEFT মারফত ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাওয়া যায়নি । পরে ফোন করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাই বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি । সকলকে বলি আমার মতো কেউ চাকরির জন্য টাকা দেবেন না । চাকরি করতে গেলে টাকা দিতে হয় না ।"