খন্যান, 13 মার্চ : ভাগ্যের চাকা ঘোরা হয়ত একেই বলে ৷ গতকাল রাতেও এক চিলতে মাটির ঘরে চাটাই বিছিয়ে শুয়েছিলেন ৷ আর আজ সকালেই লক্ষ্মীলাভ ৷ লটারির টিকিট কেটে একেবারে কোটিপতি দুই বন্ধু ৷
তারাপদ বাগ ও রবি টুডু ৷ তারাপদ মাছ বিক্রি করেন ৷ আর তাঁর বন্ধু রবি ভ্যান চালান ৷ দু'জনেরই বাড়ি খন্যানের হাটতলা এলাকায় ৷ অভাবের সংসার ৷ ভ্যান চালিয়ে বা মাছ বিক্রি করে যেটুকু আয় হয় তাতেই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় দু'জনকে । কোনওদিন একবেলা কোনওদিন বা আধবেলা খাবার জুটত ৷
কিন্তু ওই টালির চাল দেওয়া মাটির ঘরে বসেও স্বপ্ন বুনতেন ওঁরা ৷ রাস্তা দিয়ে যখন যেতেন, আশেপাশের পাকাবাড়িগুলো দেখে ভাবতেন... কবে তাঁদেরও একটা এরকম পাকা বাড়ি হবে ৷ সামনে একটা ছোটো সাজানো বাগান থাকবে ৷ তাতে রঙ-বেরঙের ফুল ফুটবে ৷ সেই স্বপ্ন এবার সত্যি হবে তারাপদ-রবিদের ৷
আরও পড়ুন : 30 টাকার লটারির টিকিট কিনে কোটিপতি ভাতারের মাছ ব্যবসায়ী
লটারির টিকিট কাটার নেশা তাঁদের কোনও দিনই ছিল না । কিন্তু শুক্রবার রাতে কী মনে হয়েছিল... চলে গিয়েছিলেন ভাগ্য পরীক্ষা করতে ৷ একটা লটারির টিকিটের দাম 6 টাকা ৷ পাঁচটার সেট কিনতে গেলে লাগত 30 টাকা ৷ কিন্তু তারাপদর কাছে তখন সেই টাকাটুকুও ছিল না ৷ 7 টাকা কম পড়ছিল ৷ সেই বাকি টাকাটুকু দিয়েছিলেন রবি ৷ ঠিক হয়েছিল, যদি ভাগ্যের চাকা ঘোরে, তাহলে দু'জনেই সমান ভাগ করে নেবেন ৷
শেষমেষ সত্যিই ঘুরল ভাগ্যের চাকা ৷ এক কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছেন তাঁরা ৷ কথা মতো সেই টাকা দু'জন মিলে ভাগাভাগি করে নেন ৷ আজ সকাল থেকেই এক চিলতে মাটির ঘরের টালির চালে ভিড় বাড়ছে । খুশির হাওয়া দুই পরিবারেই । দুজনেই জানিয়েছেন, মাটির বাড়িতে সারিয়ে পাকা ঘর করবেন ও বেশকিছু জমি কিনবেন তারা ।