দার্জিলিং, 13 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে চরম কাজিয়া শুরু হয়েছে শৈলরানীর রাজনীতিতে । একদিকে, পাহাড়ে অনিত থাপার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিরোধী জোট গড়ে উঠেছে । অন্যদিকে, পাহাড়ে ফিরেও জিটিএ নির্বাচনে পরাজয়ের পর একপ্রকার অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে বিমল গুরুং'য়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার । নিজের ও দলের অস্তিত্ব বাঁচাতে তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনই একমাত্র আশাভরসা তাদের। যে কারণে জোট করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিমল গুরুং।
তবে জিটিএ নির্বাচনের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অনিত থাপার বিরুদ্ধে মূল লড়াই বিরোধী জোট বিজেপি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা , হামরো পার্টি ও জিএনএলএফের ৷ পঞ্চায়েতে জয় নয়, জিটিএ'র মতো এই নির্বাচনেও অনিতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তিনি । সেই জোটে হাত মিলিয়েছে পাহাড়ের একসময়ের দাপুটে নেতা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং । অনিত থাপার বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তিনি ।
পালটা বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে ছাড়েনি ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা । বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রশাসনিক দুর্নীতির পাশাপাশি 'গুন্ডা কর' আদায়ের অভিযোগ তুললেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা । আর দুই নেতার বাক্ তরজায় সরগরম পাহাড়ের রাজনীতি ।
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিমল গুরুং বলেন, "পাহাড়ের শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই জোট । পাহাড়কে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এই দলটি । তার বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই । পাহাড়ে একটা কাজও হয়নি, একটা উন্নয়নও হয়নি । সব টাকা নয়ছয় হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: বিমল গুরুঙের আশীর্বাদেই লোকসভার টিকিট
পালটা বিমল গুরংকে কটাক্ষ করেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা । তিনি বলেন, "বিমল গুরুং নিজে ক্ষমতায় থাকাকালীন সব থেকে বেশি দুর্নীতি করেছেন । উন্নয়নের একাধিক প্রকল্পর টাকা এসেছে কিন্তু কাজ হয়নি । সেসব টাকা কোথায় গেল কেউ জানে না । রাজনৈতিক দুর্নীতির পাশাপাশি প্রশাসনিক দুর্নীতি করেছেন তিনি । গুন্ডা ট্যাক্স আদায় করতেন । পাহাড়ে গুন্ডাগিরিকে একটা আলাদা মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন বিমল গুরুং ।"