শিলিগুড়ি, 5 মার্চ: রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরবঙ্গের আট জেলায় পাঁচ দফায় ভোট পরিচালনা হবে। নির্বাচন ঘোষণা হতেই কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। বাম-কংগ্রেসের জোটের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জোটের ফলে এবার বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। যদিও নির্বাচন ঘোষণা হলেও কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। কারণ, জোটের আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও জট কিছুটা থেকেই গিয়েছে। ফলে জোট শিবিরের তরফেও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লিখনে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে। দেওয়াল লিখনে জোটপ্রার্থী হিসেবে শংকর মালাকারের নাম লেখা হয়েছে।
শংকর মালাকার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা এবং তিনি এর আগেও ওই আসনেই দু'বার কংগ্রেসের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন সমঝোতার সময় কংগ্রেস নিজেদের জয়ী আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল। ফলে, দার্জিলিং জেলার মধ্যে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে যে তিনিই জোটপ্রার্থী হচ্ছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তার পরেও জোটের নিয়মের বিপরীতে গিয়ে আগেভাগেই শংকর মালাকারের নামে দেওয়াল লিখন হওয়ায় জোটের অন্দরে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় মৃত কিশোরী, আহত 4 জন
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার বলেন, "আমি কলকাতায় বৈঠকের জন্য গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। দলের কর্মী-সমর্থকরা অতি উৎসাহে হয়ত ওই দেওয়াল লিখন করেছে।" সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "এতে কোনও অসুবিধার কিছু নেই । এটা প্রায় নিশ্চিত যে তিনি জোটের প্রার্থী হবেন।" তবে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির তৃণমূল নেতা দুর্লভ চক্রবর্তী বলেন, "এটা জোট না ঘোট এতেই প্রমাণ পাওয়া যায়। যে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রার্থীর নাম করে দেওয়াল লিখন হয়ে যায়। তবে আর যাই হোক এবার এই জোটকে হারিয়ে ভূত করে দেবে তৃণমূল।"