শিলিগুড়ি, 30 অক্টোবর: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পর এ বার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইউনাইটেড ফোরাম ফর সেপারেট স্টেট । দুর্গাপুজোর পর্ব মিটতেই সোমবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন ফর ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন ইউনাইটেড ফোরাম ফর সেপারেট স্টেটের সদস্যরা । সেখানে উপস্থিত ছিলেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি, কামতাপুর পিপলস পার্টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন, বীর বিরসা মুন্ডা ইল উগলান , এসসি এসটি ওবিসি মুভমেন্ট মঞ্চ, ভূমিপুত্র কো-অর্ডিনেশন পার্টি মিলিয়ে মোট ন'টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা । 16 অক্টোবর ওই কমিটির প্রথম বৈঠকের পর এ দিন এই ফোরামের কোর কমিটি বৈঠকে বসে । বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং ও কেপিপি সভাপতি অধীর রায় ।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে 10 নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে স্মারকলিপি দেবে ফোরাম । স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচির পর টানা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাবে ফোরাম । শিলিগুড়িতে সেই দাবিতে মহামিছিল করার কথা রয়েছে ফোরামের । তবে পৃথক রাজ্য দ্রুত পেতে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হতে চলেছে ফোরাম । যদিও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থনের বিষয়ে এখনই তারা কিছু খোলসা করেনি ।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা নিয়ে মন্তব্য শোনা গিয়েছে জিসিপিএ নেতা তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের গলায় । একই দাবি তুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপির মন্ত্রী থেকে সাংসদ, বিধায়কদেরও । তবে এই ফোরাম আর আঞ্চলিকভাবে কামতাপুর, কোচবিহার বা গোর্খাল্যান্ড নয়, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছে । এই দাবি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিকদল ।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে একত্রিত আঞ্চলিক দলগুলি, আয়োজিত হল যৌথমঞ্চের প্রথম সম্মেলন
বিমল গুরুং বলেন, "10 নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে । তারপর ইন্ডিয়া জোটের দ্বারস্থও হব আমরা । লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই দাবির কোনও যোগাযোগ নেই । টানা আন্দোলন চলবে । এর আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আমাদের প্রতিহিংসার আন্দোলন করানো হয়েছিল । এ বার তা হবে না ।"
ফোরামের মুখপাত্র উত্তম রায় বলেন, "অনেক রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে আসতে চাইছে । তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে । ফ্যাক্স বা ইমেলে ফোরামের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি দেবে । তারপর টানা আন্দোলনে নামব আমরা ।"