শিলিগুড়ি, 17 মে: টোটো চালকের তৎপরতায় বানচাল তিন নাবালিকার পাচার। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে। নাবালিকা পাচারের ঘটনায় দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিন জেলা থেকে নাবালিকাদের শিলিগুড়ি নিয়ে এসে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ধৃতরা। বুধবার ওই দুই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। ওই দুই মহিলার নাম সেওয়াঙ চোণ্ডো ও ইয়াসমিন মালিক। দু'জনেই লাদাখের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, কাজের টোপ দিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার ডিডি কলোনি থেকে তিন নাবালিকাকে প্রথমে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসে লাদাখের ওই দুই মহিলা। এর পিছনে আন্তর্জাতিক শিশু পাচার চক্র জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। শিলিগুড়ি থানায় ওই ঘটনা নিয়ে শিশু অপহরণের মামলা রুজু হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, "ওই মহিলাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধান মার্কেটের কাছে ওই মহিলারা হোটেলের খোঁজ করছিল। এ ব্যাপারে তারা এক টোটোচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই সময় ওই উদ্ধার হওয়া নাবালিকারা কাঁদছিল। তা দেখে টোটোচালক এবং স্থানীয় কিছু লোকের সন্দেহ হয়। তখন স্থানীয়দের পরামর্শ মতো তিন নাবালিকা-সহ ওই মহিলাদের সোজা মহাত্মা গান্ধি মোড়ে ট্রাফিক গার্ডের অফিসে নিয়ে যান টোটোচালক। এরপরই পুলিশ ঘটনার রহস্য ফাঁস করে।
আরও পড়ুন: কালিয়াচকে দেহ উদ্ধারের 17 দিন পর নাবালিকার বাড়িতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, উঠছে প্রশ্ন
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত কাজের টোপ দিয়ে ওই নাবালিকাদের এখানে আনে ওই মহিলারা। অভিযুক্তরা জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই নাবালিকাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে উদ্ধার হওয়া নাবালিকারা জানিয়েছে, তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই নাবালিকাদের বয়স 5 থেকে 6 বছরের মধ্যে। কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়ারক পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে নাবালিকারা। তবে সেখানে নিয়ে গিয়ে কী কাজে তাদের লাগানো হত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।