দার্জিলিং, 25 সেপ্টেম্বর: ডুয়ার্সের জঙ্গলে তো অনেকেই গিয়েছেন । কিন্তু কখনও পাহাড়ি পাইনের জঙ্গলে ঝরনার ঠান্ডা জলে পা ঝুলিয়ে সময় কাটানোর স্বাদ কী নিয়েছেন ? সেখানকার অ্যাডভেঞ্চার মন কাড়বে পর্যটকদের । ছোট ছোট কাঠের কটেজে রাত কাটানো । আর ঝরনার জলের পাশেই ক্যাম্প ফায়ার করে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শোনা । পরিবারের সঙ্গে সে এক নির্ভেজাল আড্ডা । এরকমই একদম নতুন অফবিট জায়গা হল মাজুয়া । আর এবার পুজোয় এই অফবিট লোকেশনই মন কাড়বে পর্যটকদের ।
ডুয়ার্স কিংবা তরাই এলাকার জঙ্গলের থেকে পাহাড়ের জঙ্গল অনেকটাই আলাদা । নিস্তব্ধ, নির্জনতা একটা আলাদাই অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে আসে । দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে এরকম অনেক অজানা জঙ্গল রয়েছে । তারই একটি হল সিঙ্গালিলা জঙ্গলে থাকা মাজুয়া । সেখানে দিনের বেলাতেও এতটাই নির্জনতা যে দিনের বেলাতেও ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শোনা যায় । চারিদিকে সারি সারি পাইনের গাছ, আর জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি ঝরনা । ঢালু জমি দিয়ে চারপাশটা ঘুরে আসলে মুহূর্তে কেটে যাবে সময় ।
সারাদিন বয়ে চলা ঝরনার শব্দে মন আর মেজাজ দুটোই জুড়িয়ে যাবে । সেখানে তৈরি করা হয়েছে ওই কাঠের কটেজগুলো । কটেজের বাইরে দিয়েই বয়ে গিয়েছে ঝরনাটি । সেখানে বসেই কখন সকাল থেকে সন্ধ্যে হয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না । কটেজগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বন দফতরের তরফে । তবে অন্ধকারেও চিন্তা নেই । কারণ সেখানে বিদ্যুৎ আছে । থাকবে এমার্জেন্সি বিদ্যুৎও । ফলে আর যাই হোক ছবি তোলা কিংবা রিল বানাতে মোবাইল চার্জের চিন্তা করতে হবে না ।
নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে ছোট চারচাকা গাড়ি করে সোজা চলে যেতে হবে দার্জিলিং । তাতে মাথাপিছু খরচ হবে খুব বেশি হলে 600 থেকে 800 টাকা । দার্জিলিং থেকে সিঙ্গালিলা খুব একটা দূরে নয় । সেখান থেকেও ছোট গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যাবে সিঙ্গালিলার মাজুয়া জঙ্গলে । তাতে মাথাপিছু 300 টাকার মতো খরচ । আর রাতে উডেন কটেজে থাকতে মাথাপিছু খরচ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা । তবে পুজোর সময় চাহিদা বেশি থাকায় আগে থেকে বুকিং করে রাখাই ভালো । বন দফতরের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বুকিং করা যায় কটেজগুলি । একটি কটেজে দুই থেকে চারজন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ।
আরও পড়ুন : এবার পুজোয় ঘুরে আসুন বাংলার 'সুইৎজারল্যান্ডে', সিটংয়ের কাছেই মনোরম সেই জায়গা