দার্জিলিং, 26 ডিসেম্বর: বড়দিন (Christmas) এবং ইংরেজি নতুন বছরকে (New Year 2023) সামনে রেখে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট শৈলরানি। আর করোনার দু'বছর পর এবারের পাহাড়ের চিত্রটা একেবারে আলাদা ৷ পাহাড় এখন শান্ত ও স্বাভাবিক ৷ আর তাই পর্যটকদের স্বাগত জানানোর বার্তা দিয়ে এই প্রথমবার দার্জিলিং ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)।
পাহাড়ি নবান্ন উৎসব থেকে লোকসঙ্গীত, সঙ্গে স্থানীয় সুস্বাদু খাবারের মেলা। দার্জিলিঙের ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল থেকে কালিম্পঙের ফুড ফেস্টিভ্যাল উৎসবের তালিকা রয়েছে একাধিক চমক। পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙের চৌরাস্তায় তৈরি মঞ্চও। সেখানে শুরু হতে চলেছে পর্যটন উৎসব উদ্যোগে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ৷ এই উৎসব চলবে চারদিন ধরে। ডিসেম্বর 28 থেকে বছর শেষের দিন অর্থাৎ 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ফেস্টিভ্যাল।
রাজ্য পর্যটন দফতর ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় ওই উৎসবের আয়োজন করছে জিটিএ। উৎসবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও জিটিএ'র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা। উৎসবকে সামনে রেখে পাহাড়ের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে জিটিএ। ইতিমধ্যে শীতের মরশুমকে সামনে রেখে পাহাড়ে বুকিং ফুল রয়েছে। পর্যটকদের এতটাই ভিড় যে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বুকিং বাতিল করে দিয়েছে পর্যটন সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: দার্জিলিং জমজমাট ! পর্যটকদের ভিড়ে শৈলরানিতে আগামী এক সপ্তাহ বন্ধ হোটেল বুকিং
পাহাড়ের এই দৃশ্যকে দেখতে এবার পর্যটন উৎসবে মাতবে শৈলরানি। জিটিএ'র (Gorkhaland Territorial Administration) পর্যটন ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে চারদিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে রয়েছে একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় শিল্পীদের ব্যান্ডের গান ছাড়া রয়েছে ডগ-শো, বেবি শো-সহ আরও নানান অনুষ্ঠান। বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যাবে সাংস্কৃতিক জলসা। তাই কড়া শীতেও পাহাড় গরম হতে চলেছে ওই চারদিন। ফলে ওইসময় উপস্থিত পর্যটকরাও দারুণ আনন্দে কাটাতে পারবেন। ঠান্ডা যতই পড়ুক পর্যটন উৎসব সকলের মন জয় করে নেবে বলে আশাবাদী জিটিএ।
জিটিএ-এর পর্যটন বিভাগের সভাসদ নর্দেন শেরপা বলেন, "শান্তিতে রয়েছে পাহাড়। কোথাও কোনও অশান্তির লেশমাত্র নেই। সবই স্বাভাবিক ৷ তাই আমরা পর্যটকদের আমন্ত্রণ করছি আপনারা পাহাড়ে আসুন ঠান্ডা উপভোগ করার জন্য। তাঁদের জন্যই আমাদের এই উৎসব করা। যাতে তাঁরা এসে বছরের শেষে আনন্দ-হুল্লোড়ে কাটাতে পারেন। আমরা চাই বিদেশি পর্যটকরাও হাজির হোক ওইসময়। তাঁরাও দেখতে পারবেন আমরা কেমন উৎসব করছি পর্যটকদের জন্য।"
আরও পড়ুন: নাচে-গানে বড়দিন উদযাপনে মেতে উঠল শৈলরানি