শিলিগুড়ি, ৯ ফেব্রুয়ারি : "মানুষ চাইলে থাকবেন। নাহলে নেই। আর তো ক'মাস। এই প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক আর যেই হোক এইভাবে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে আমাদের দেশের সমস্ত নিয়ম নীতি, সংবিধান ভেঙেছেন তিনি। অনৈতিক কাজ করেছেন।" গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী গৌতম দেব।
জলপাইগুড়ি জেলার চূড়াভাণ্ডারে জনসভার আগে পৃথক মঞ্চ থেকে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনসহ বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন গৌতমবাবু। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "নিয়ম না মেনেই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এমন কী সেখানে কেউ ছিল না। যারা বিচার করবে তারা নেই। হাইকোর্টের বিচারপতি ও অন্য বিচারকরা কেউ নেই, সুপ্রিম কোর্টের কোনও প্রতিনিধি নেই। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন কালে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী উপস্থিত থাকার কথা। প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভা করতে এসে তার পাশে একটি ফলক উন্মোচন করে বললেন আমি হাইকোর্ট চালু করে দিলাম। বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করতে চাই এক টাকাও কি খরচ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ? আদালতগুলির সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার করে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নোটিফিকেশনের দরকার ছিল। সেটা এক ঘণ্টার কাজ। সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ঝুলিয়ে রেখে শেষে দু'দিন আগে ক্যাবিনেটে অনুমোদন করিয়ে একা একা গিয়ে উদ্বোধন করে দিলেন।"
অন্যদিকে, জনসভার মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে শিলিগুড়ি পৌরনিগম নিয়ে কথা বললেন তিনি। দার্জিলিং জেলা নিয়ে তাঁকে ভাবতে হচ্ছে। এটা আমাদের বেশ ভালো লাগছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে মন্তব্য করলেও আমাদের কাছে অস্বাভাবিক কিছু মনে হবে না।"