ETV Bharat / state

Tea Garden: পুজোর মুখে বন্ধ হল পাহাড়ের দুই চা-বাগান, কর্মহীন হল প্রায় সাড়ে 4 হাজার শ্রমিক - জিটিএ

Suspension of Work Notice: দার্জিলিংয়ের পুলবাজার ব্লকের চংটং চা-বাগান ও সুখিয়াপোখরি ব্লকের নাগরি চা-বাগান বন্ধ হয়ে গেল শনিবার ৷ বাগান কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে সেই কথা জানিয়েছে ৷ দু’টি বাগানই লেমনগ্রাস অর্গানিট টি এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনে ছিল ৷

Tea Garden
Tea Garden
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 30, 2023, 6:07 PM IST

দার্জিলিং, 30 সেপ্টেম্বর: পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল পাহাড়ের আরও দু’টি চা-বাগান । কাজ হারালেন প্রায় সাড়ে 4 হাজার চা-শ্রমিক । ওই দু’টি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকমহলে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে । জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের পুলবাজার ব্লকের চংটং চা-বাগান ও সুখিয়াপোখরি ব্লকের নাগরি চা-বাগান শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ।

শুক্রবার রাতে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ওই দুই বাগানের গেটে বাগান বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় । দুই বাগানেই দেখা মেলেনি কর্তৃপক্ষের । শনিবার সকালে চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গেলে বাগানের গেটে নোটিশ দেখতে পান । এরপরই গোটা চা-বাগান এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । ওই দুই বাগানই লেমনগ্রাস অর্গানিট টি এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত হয় । কলকাতার একটি সরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে বাগান কর্তৃপক্ষের আর্থিক জটিলতার কারণে ওই বাগান বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ ।

বিষয়টি নজরে আসামাত্রই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিটিএ-র (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা । ইতিমধ্যে ওই বিষয়ে সুরাহার আবেদন করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে । পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি । শুধু তাই নয় । এ দিনই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন অনিত থাপা ।

জানা গিয়েছে, নোটিশে জানানো হয়েছে, ব্যাংকের তরফে 21 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত আর্থিক জটিলতা সুরাহার কথা জানানো হয়েছিল । কিন্তু ব্যাংক তা করেনি । সেজন্য অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে । 2022 সালের 28 নভেম্বর থেকে 2023 সালের 28 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে । 29 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হবে । পাশাপাশি অন্যান্য বকেয়াও দফায় দফায় মিটিয়ে দেবে বাগান কর্তৃপক্ষ ।

চা-বাগানের এক শ্রমিক সুরেশ লামা বলেন, "মরশুমের সময় আমাদের আট ঘণ্টা করে কাজ করানো হয়েছে । তারা জানিয়েছিল যে পাতার গুণগতমান ও উৎপাদন দু’টোই ভালো হচ্ছে । কিন্তু যেই মুহূর্তে পাতা তোলার মরশুম শেষ হল, তখনই বাগান বন্ধ করা হল । এ দিন সকাল পর্যন্ত আমরা জানতামই না বাগান বন্ধ হবে । সামনে পুজোর মরশুম, এখন আমাদের বোনাসের সময় । বাচ্চাদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছি । কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে গেল । আমরা এখন কী করব জানি না ।"

জিটিএ চিফ অনিত থাপা বলেন, "আমি এই বিষয়ে আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম । তারা অনেকদিন থেকেই টালবাহানা করছিল । মীমাংসা করার জন্য ডাকা হলেও আসছিল না । আমি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি । আমি নিজে কলকাতা গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব ।"

আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বৈঠক, বেতন বাড়ার আশায় চা বাগানের শ্রমিকরা

দার্জিলিং, 30 সেপ্টেম্বর: পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল পাহাড়ের আরও দু’টি চা-বাগান । কাজ হারালেন প্রায় সাড়ে 4 হাজার চা-শ্রমিক । ওই দু’টি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকমহলে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে । জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের পুলবাজার ব্লকের চংটং চা-বাগান ও সুখিয়াপোখরি ব্লকের নাগরি চা-বাগান শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ।

শুক্রবার রাতে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ওই দুই বাগানের গেটে বাগান বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় । দুই বাগানেই দেখা মেলেনি কর্তৃপক্ষের । শনিবার সকালে চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গেলে বাগানের গেটে নোটিশ দেখতে পান । এরপরই গোটা চা-বাগান এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । ওই দুই বাগানই লেমনগ্রাস অর্গানিট টি এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত হয় । কলকাতার একটি সরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে বাগান কর্তৃপক্ষের আর্থিক জটিলতার কারণে ওই বাগান বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ ।

বিষয়টি নজরে আসামাত্রই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিটিএ-র (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা । ইতিমধ্যে ওই বিষয়ে সুরাহার আবেদন করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে । পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি । শুধু তাই নয় । এ দিনই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন অনিত থাপা ।

জানা গিয়েছে, নোটিশে জানানো হয়েছে, ব্যাংকের তরফে 21 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত আর্থিক জটিলতা সুরাহার কথা জানানো হয়েছিল । কিন্তু ব্যাংক তা করেনি । সেজন্য অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে । 2022 সালের 28 নভেম্বর থেকে 2023 সালের 28 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে । 29 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হবে । পাশাপাশি অন্যান্য বকেয়াও দফায় দফায় মিটিয়ে দেবে বাগান কর্তৃপক্ষ ।

চা-বাগানের এক শ্রমিক সুরেশ লামা বলেন, "মরশুমের সময় আমাদের আট ঘণ্টা করে কাজ করানো হয়েছে । তারা জানিয়েছিল যে পাতার গুণগতমান ও উৎপাদন দু’টোই ভালো হচ্ছে । কিন্তু যেই মুহূর্তে পাতা তোলার মরশুম শেষ হল, তখনই বাগান বন্ধ করা হল । এ দিন সকাল পর্যন্ত আমরা জানতামই না বাগান বন্ধ হবে । সামনে পুজোর মরশুম, এখন আমাদের বোনাসের সময় । বাচ্চাদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছি । কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে গেল । আমরা এখন কী করব জানি না ।"

জিটিএ চিফ অনিত থাপা বলেন, "আমি এই বিষয়ে আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম । তারা অনেকদিন থেকেই টালবাহানা করছিল । মীমাংসা করার জন্য ডাকা হলেও আসছিল না । আমি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি । আমি নিজে কলকাতা গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব ।"

আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বৈঠক, বেতন বাড়ার আশায় চা বাগানের শ্রমিকরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.