ETV Bharat / state

কোরোনা চিকিৎসায় ভরসা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, খুলছে মংপুর সিঙ্কোনা প্ল্যানটেশন - আশার আলো দেখছে মংপুর সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন

1875 সালে কারখানা গড়ে উঠেছিল । পরে 2000 সালে এই কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । বর্তমান পরিস্থতির কথা মাথায় রেখে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উৎপাদনের জন্য ফের মংপুর কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 10, 2020, 12:20 AM IST

দার্জিলিং, 9 এপ্রিল : দিন দিন কোরোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । এর মাঝে কোথাও যেন ভরসা জোগাচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খানিকটা হলেও শরীরে কোরোনার প্রভাব কমায় এই ওষুধ । আর এর জেরেই মংপুতে ফের কুইনাইন কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য ।

এই কারখানার ইতিহাসটা বেশ পুরোনো । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য মংপুতে সিঙ্কোনার চাষ শুরু হয় 1858 সালে । ব্রিটিশদের উদ্যোগে সিঙ্কোনার চাষ শুরু হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল, ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন তৈরি । এরপরই 1875 সালে সেখানে কারখানা গড়ে তোলা হয় । মংপু, রংগু, মনসং ও লাটপঞ্চারে প্রায় 700 একর জুড়ে থাকা সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকেই তৈরি হয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নামক এই ওষুধ । এর সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা 5 হাজার 350 জন । কিন্তু ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আসতেই সিঙ্কোনার কদর আগের তুলনায় কমতে থাকে । 2000 সালে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । ফলে ধুঁকতে শুরু করে এই শিল্প ।

দিন কয়েক ধরে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ নিয়েই ভারত-অ্যামেরিকার টানাপোড়েন চলছে । শেষে এই ওষুধ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত ৷ তারপর নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাও করেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এই পরিস্থিতিতে ফের মংপুর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরির কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ।

সিনকোনা প্ল্যান্টেশনের ডিরেক্টর ড: স্যামুয়েল রাই বলেন, "কোরোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা বাড়ায় সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশনের রুগ্নদশা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে । কারণ এখনই গুদামে 500 মেট্রিক টন সিঙ্কোনার ছাল মজুত রয়েছে। যার থেকে ওই ওষুধ তৈরি করা সম্ভব । কোরোনা চিকিৎসায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বাড়লে এই শিল্পের মন্দা দশা কাটবে ।"

দার্জিলিং, 9 এপ্রিল : দিন দিন কোরোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । এর মাঝে কোথাও যেন ভরসা জোগাচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খানিকটা হলেও শরীরে কোরোনার প্রভাব কমায় এই ওষুধ । আর এর জেরেই মংপুতে ফের কুইনাইন কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য ।

এই কারখানার ইতিহাসটা বেশ পুরোনো । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য মংপুতে সিঙ্কোনার চাষ শুরু হয় 1858 সালে । ব্রিটিশদের উদ্যোগে সিঙ্কোনার চাষ শুরু হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল, ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন তৈরি । এরপরই 1875 সালে সেখানে কারখানা গড়ে তোলা হয় । মংপু, রংগু, মনসং ও লাটপঞ্চারে প্রায় 700 একর জুড়ে থাকা সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকেই তৈরি হয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নামক এই ওষুধ । এর সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা 5 হাজার 350 জন । কিন্তু ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আসতেই সিঙ্কোনার কদর আগের তুলনায় কমতে থাকে । 2000 সালে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । ফলে ধুঁকতে শুরু করে এই শিল্প ।

দিন কয়েক ধরে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ নিয়েই ভারত-অ্যামেরিকার টানাপোড়েন চলছে । শেষে এই ওষুধ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত ৷ তারপর নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাও করেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এই পরিস্থিতিতে ফের মংপুর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরির কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ।

সিনকোনা প্ল্যান্টেশনের ডিরেক্টর ড: স্যামুয়েল রাই বলেন, "কোরোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা বাড়ায় সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশনের রুগ্নদশা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে । কারণ এখনই গুদামে 500 মেট্রিক টন সিঙ্কোনার ছাল মজুত রয়েছে। যার থেকে ওই ওষুধ তৈরি করা সম্ভব । কোরোনা চিকিৎসায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বাড়লে এই শিল্পের মন্দা দশা কাটবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.