দার্জিলিং, 18 অক্টোবর: হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম ৷ স্বভাবতই পর্যটকদের বুকিং বাতিলে ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা ৷ তবে বিপর্যয়ের মধ্যেও পর্যটন ব্যবসায় কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর । মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখল সিকিম। ফের একবার তাই বরফের ছোঁয়া পেতে সিকিমমুখী পর্যটকরা। ঘুর পথে হলেও সিকিমে এখন যেতে বাধা নেই ।
মঙ্গলবার বিকেল ও বুধবার সকালে সিকিমের সঙ্গমো লেকের কাছে তুষারপাত হয়েছে । এখন উত্তর সিকিমে পর্যটক না-থাকায়, সিকিমবাসী মেতে উঠলেন বরফ খেলায় । এদিকে, বিপর্যয় কিছুটা সামলে উঠতে না-উঠতেই মঙ্গলবার থেকেই নাথুলা পাস, বাবা মন্দির ও লাচেনের একাংশ ধরে ফের একবার পর্যটকদের জন্য পারমিট ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে সিকিম প্রশাসন ।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নাথুলা পাস, সঙ্গমো লেকের কাছে প্রায় ঘন্টাখানেক তুষারপাত হয় । পুজোর মরশুমের শুরুতেই তুষারপাত হওয়ায় খুশি পর্যটনমহল । যদিও এখনও সম্পূর্ণরূপে চালু হয়নি 10নম্বর জাতীয় সড়ক । সেখানে সড়ক নির্মাণের কাজ করছে পূর্ত দফতর । তবে গরুবাথান হয়ে সিকিমেও ঘুরপথে যান চলাচল শুরু হয়েছে ৷ আর সেই ঘুর পথে এবার সিকিমমুখী হতে শুরু করেছে পর্যটকরা । লাচুং-সহ উত্তর সিকিমের একটা বড় অংশ বন্ধ থাকলেও পশ্চিম এবং দক্ষিণ সিকিম সম্পূর্ণরূপে খোলা রয়েছে পর্যটকদের জন্য। যা আবারও পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে ৷ এর ফলে পুজোয় অল্প হলেও পর্যটকরা সিকিমমুখী হবে বলে মনে করছে পর্যটন মহল ।
আরও পডুন: সিকিমের বানে উদ্বেগে শৈলরানি, ফের ধাক্কা দার্জিলেঙের পর্যটন ব্যবসায় !
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হড়পা বানের সৃষ্টি হয় সিকিমে। তাতে তিস্তার ব্যপক জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা । আটকে পড়ে হাজার হাজার পর্যটক । পরে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসে ভারতীয় সেনা ও সিকিম প্রশাসন । পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ধীরে ধীরে পর্যটকদের জন্য দফায় খুলে দেওয়া হয় সিকিমের পর্যটন কেন্দ্রগুলি ।