শিলিগুড়ি, 9 জুন : যত দিন যাচ্ছে করোনা টেস্ট নিয়ে রীতিমতো ব্যবসা শুরু করেছে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর দল ৷ করোনার জাল রিপোর্ট পেশ করে রমরমিয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছে তারা ৷ এরকমই 8 জুন করোনার জাল রিপোর্ট তৈরি করে শিলিগুড়ি পুলিশের ফাঁদে পা দিল এক যুবক ৷ ধৃতের নাম বিশাল দত্ত ৷
পুলিশ সূত্রে খবর , ধৃত শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার খাপড়াইল মোড়ের বাসিন্দা। শিলিগুড়ির সেভক রোডের 'ইউনিপ্যাথ ল্যাব' নামে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে কর্মরত ছিল ওই যুবক। পাশাপাশি ওই যুবক বাড়ি বাড়ি নমুনা সংগ্রহেরও কাজ করত ৷ সেই সুবাদে শহরে তার পরিচিতের সংখ্যাও বেড়েছিল ৷
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে তাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার আগে অবশ্য ল্যাবরেটরির পুরানো গ্রাহকদের ডেটা ব্যাঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছিল সে। এরপর কাজ চলে যাওয়ার পর করোনার পরীক্ষার নামে তার কাছে ফোন আসলে নিজে থেকে বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করত । আর দুদিন পরে রিপোর্ট দেওয়ার হলে সুবিধা মতো পুরানো গ্রাহকদের রিপোর্ট কম্পিউটারে এডিট করে প্রিন্ট করে দিত ।
এত কিছু করেও শেষরক্ষা হল না ৷ শিলিগুড়ির এক ব্যক্তির সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় সে ৷ রিপোর্ট দেয় পজ়িটিভ ৷ সেইমতো ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করলে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ৷ পরে রিপোর্ট অন্য একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে রিপোর্টটি জাল বলা হয় ৷
আরও পড়ুন : চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি হবে 8.3 শতাংশ, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাঙ্কের
সেইমতো তদন্ত শুরু করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পানিটাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ ৷ যে ডায়গনস্টিক সেন্টারে ধৃত কাজ করত , সেখানে যোগাযোগ করে পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয় যুবককে ৷ জেরার মুখে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকারও করে সে ৷ অন্যদিকে তার ব্যগ থেকে বেশ কিছু নমুনাও উদ্ধার করা হয়েছে ৷
বুধবার সকালে ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান , এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে ৷