শিলিগুড়ি, 20 জানুয়ারি: অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে বন বিভাগ (Forest Department Destroy Illegal Construction) । শুক্রবার সকালে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম রেঞ্জের অধীনে ফারাবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকায় অভিযান চালায় বন বিভাগ । বন বিভাগের জমিতে মাথা তোলা অবৈধ নির্মাণ গুড়িয়ে দিল বন দফতর ৷
জানা গিয়েছে, বন্য আইনকে তোয়াক্কা না-করে বন দফতরের জমিতে অবৈধভাবে বহুতল নির্মাণ করা হয়েছিল। মাস-কয়েক আগে বন দফতরের তরফে ওই বাড়িটি ভেঙে দেওয়ার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি বাড়ির মালিক ডিভি ছেত্রী । প্রায় 65 হাজার 500 বর্গফুট এলাকা দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ । অবশেষে ওই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে এদিন অভিযান চালায় বন দফতর । বনদফতরের এডিএফও মঞ্জুলা তিরকে-সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ওই নির্মাণ ভাঙা হয় ।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিককেও আটক করা হয়েছে । এডিএফও মঞ্জুলা তিরকে বলেন, "বহুবার বাড়ির মালিককে অবৈধ নির্মাণ সরানোর জন্য জানানো হয়েছিল । কিন্তু তিনি করেননি । এরপর আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে । এদিন বন বিভাগ, পুলিশের সহযোগিতায় ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়। আগামীতেও বন বিভাগের জমিতে জবরদখল ও অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে ।"
আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে লোকালয়ে গজরাজ, বৈকুণ্ঠপুরে জঙ্গলে হাতির পালের উপর নজর
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের অধীন ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ছোট ফাপড়ি এলাকায় প্রায় চার হেক্টর জমি জবর দখল হয়ে গিয়েছিল (Baikunthapur Forest)। সেই জমিতে জনবসতি গড়ে ওঠার পাশাপাশি গড়ে উঠেছিল আস্ত একটি বাজার ৷ জবরদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় বন দফতরকে । শেষমেষ ডিসেম্বর মাসে পুলিশের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই জমির কিছুটা অংশ উদ্ধার করে বন দফতর । পরবর্তীতে যাতে ওই জমি ফের জবরদখল না-হয়ে যায় সেজন্য সেই জমিতে বৃক্ষরোপণ ও পার্কের মতো তৈরি করা হয় । একই ছবি বড় ফাপড়ি ও সরস্বতীপুর রেঞ্জেও । এই সব সমস্যার কারণেই বন বিভাগের তরফে সার্ভের কাজ শুরু করা হয়েছে । পাশাপাশি বন বিভাগের জমি বিক্রিতে যেসব অসাধু চক্র জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।