ETV Bharat / state

একরাতে তিনজনকে খুন, তিনজনের ফাঁসি - convicts

বর্ধন দম্পতি ও তাঁদের সন্তানকে খুনের ঘটনায় ধৃত তিনকে ফাঁসির ঘোষণা শিলিগুড়ি আদালতের । ঘটনাটিকে বিরল থেকে বিরলতম ঘোষণা আদালতের ।

দোষী তিন
author img

By

Published : Jun 29, 2019, 9:13 PM IST

Updated : Jun 29, 2019, 10:09 PM IST

Iশিলিগুড়ি, 29 জুন : নৃশংসভাবে সন্তান সহ দম্পতি খুনের ঘটনায় তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনাল শিলিগুড়ি আদালত । নাম সহদেব বর্মণ, দীপু সূত্রধর ও চিরঞ্জিত মোদক । এই প্রথম শিলিগুড়ি আদালত কোনও দোষীকে ফাঁসির নির্দেশ দিল । আদালতের রায়ে খুশি নিহত দম্পতির মেয়ে রেশমি বর্ধন ।

শিবমন্দিরের লেলিনপুরের বাসিন্দা প্রদীপ বর্ধনের নির্মীয়মাণ বাড়িতে 2015-র জুলাইয়ের শেষের দিকে কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কাজ করেছিল সহদেব, দীপু ও চিরঞ্জিত । সেই সূত্রে ওই বছরের 14 সেপ্টেম্বর রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রদীপ বর্ধনের বাড়িতে যায় তারা । ডাকাতির পর বাড়ির দোতলায় প্রথমে প্রদীপ বর্ধনকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । একইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে । তারপর তাঁর দেহে রং ঢেলে দেয় । এরপর নিচে নামে । টার্গেট করে প্রদীপ বর্ধনের স্ত্রী দিপ্তী বর্ধনকে । তাকেও একইভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । সেইসময় বাড়িতে ছিল বর্ধন দম্পতির ছেলে প্রসেনজিৎ । তাকেও বিছানার চাদর দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । এছাড়াও, মাথা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয় ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

প্রদীপবাবুর বাড়িতে সেইসময় রঙের কাজ চলছিল । ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ 15 সেপ্টেম্বর রংমিস্ত্রিরা এসে দেখে দরজা খোলা । ভিতরে গিয়ে দেখে, ঘরে পড়ে আছে বর্ধন দম্পতি ও তাঁদের ছেলের নিথর দেহ । খবর দেওয়া হয় পুলিশে । খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় বর্ধন দম্পতির বিবাহিতা মেয়ে রেশমি বর্ধন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বর্ধন দম্পতি ও তাঁদের ছেলের মোবাইল ফোন ঘটনাস্থানে নেই । এরপর ওই মোবাইল ফোনগুলির IMEI নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ । 15 সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পুলিশের কাছে মোবাইলের ট্র্যাকিং রিপোর্ট আসে । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ওই মোবাইলে 14 তারিখ রাতে ও 15 তারিখ ভোরে কিছু অ্যাক্টিভিটি দেখা গেছে । IMEI নম্বরের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে মোবাইলটি প্রদীপ বর্ধনের । এরপর পুলিশ জানতে পারে মোবাইলটি ব্যবহার করছে সহদেব বর্মণ নামে এক ব্যক্তি । 17 সেপ্টেম্বর সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সহদেব বর্মণের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে দীপু সূত্রধর ও চিরঞ্জিত মোদকের ।

মামলাকারীর আইনজীবী পীযূষকান্তি ঘোষ জানান, মঙ্গলবার ধৃত তিনজনকে দোষীসাব্যস্ত করেছিল বিচারক । আজ এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে ঘোষণা করে দোষীদের ফাঁসির সাজা শোনান শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক । যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান বিবাদীপক্ষের আইনজীবী চন্দন দে ।

প্রদীপ বর্ধনের মেয়ে রেশমি বর্ধন বলেন, "শুরু থেকেই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কামনা করেছিলাম । আদালত আজ সেই রায় দিল । আমি খুব খুশি ।"

Iশিলিগুড়ি, 29 জুন : নৃশংসভাবে সন্তান সহ দম্পতি খুনের ঘটনায় তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনাল শিলিগুড়ি আদালত । নাম সহদেব বর্মণ, দীপু সূত্রধর ও চিরঞ্জিত মোদক । এই প্রথম শিলিগুড়ি আদালত কোনও দোষীকে ফাঁসির নির্দেশ দিল । আদালতের রায়ে খুশি নিহত দম্পতির মেয়ে রেশমি বর্ধন ।

শিবমন্দিরের লেলিনপুরের বাসিন্দা প্রদীপ বর্ধনের নির্মীয়মাণ বাড়িতে 2015-র জুলাইয়ের শেষের দিকে কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কাজ করেছিল সহদেব, দীপু ও চিরঞ্জিত । সেই সূত্রে ওই বছরের 14 সেপ্টেম্বর রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রদীপ বর্ধনের বাড়িতে যায় তারা । ডাকাতির পর বাড়ির দোতলায় প্রথমে প্রদীপ বর্ধনকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । একইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে । তারপর তাঁর দেহে রং ঢেলে দেয় । এরপর নিচে নামে । টার্গেট করে প্রদীপ বর্ধনের স্ত্রী দিপ্তী বর্ধনকে । তাকেও একইভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । সেইসময় বাড়িতে ছিল বর্ধন দম্পতির ছেলে প্রসেনজিৎ । তাকেও বিছানার চাদর দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । এছাড়াও, মাথা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয় ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

প্রদীপবাবুর বাড়িতে সেইসময় রঙের কাজ চলছিল । ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ 15 সেপ্টেম্বর রংমিস্ত্রিরা এসে দেখে দরজা খোলা । ভিতরে গিয়ে দেখে, ঘরে পড়ে আছে বর্ধন দম্পতি ও তাঁদের ছেলের নিথর দেহ । খবর দেওয়া হয় পুলিশে । খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় বর্ধন দম্পতির বিবাহিতা মেয়ে রেশমি বর্ধন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বর্ধন দম্পতি ও তাঁদের ছেলের মোবাইল ফোন ঘটনাস্থানে নেই । এরপর ওই মোবাইল ফোনগুলির IMEI নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ । 15 সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পুলিশের কাছে মোবাইলের ট্র্যাকিং রিপোর্ট আসে । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ওই মোবাইলে 14 তারিখ রাতে ও 15 তারিখ ভোরে কিছু অ্যাক্টিভিটি দেখা গেছে । IMEI নম্বরের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে মোবাইলটি প্রদীপ বর্ধনের । এরপর পুলিশ জানতে পারে মোবাইলটি ব্যবহার করছে সহদেব বর্মণ নামে এক ব্যক্তি । 17 সেপ্টেম্বর সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সহদেব বর্মণের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে দীপু সূত্রধর ও চিরঞ্জিত মোদকের ।

মামলাকারীর আইনজীবী পীযূষকান্তি ঘোষ জানান, মঙ্গলবার ধৃত তিনজনকে দোষীসাব্যস্ত করেছিল বিচারক । আজ এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে ঘোষণা করে দোষীদের ফাঁসির সাজা শোনান শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক । যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান বিবাদীপক্ষের আইনজীবী চন্দন দে ।

প্রদীপ বর্ধনের মেয়ে রেশমি বর্ধন বলেন, "শুরু থেকেই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কামনা করেছিলাম । আদালত আজ সেই রায় দিল । আমি খুব খুশি ।"

Intro:নৃশংস খুনের ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে ফাঁসির সাঁজা শোনাল শিলিগুড়ি আদালত!

শিলিগুড়ি, ২৯ জুনঃ নৃশংসভাবে ছেলে সহ দম্পতিকে খুনের ঘটনায় ২৮ জন সাক্ষ্য প্রমাণের পর চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করার পর আজ দুপুরে অভিযুক্ত তিন জনকে ফাঁসির সাজা শোনান শিলিগুড়ি মহকুমার অ্যাডিশনাল সেশন জাজ ফাস্ট কোর্টের বিচারক দেবপ্রসাদ নাথ। সাঁজাপ্রাপ্তরা হল সহদেব বর্মন, দিপু সূত্রধর ও চিরঞ্জিৎ মন্ডল। আদালতের এই রায়ে খুশি নিহতের মেয়ে সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। যদিও অভিযুক্তিদের আইনজীবী আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা স্পষ্ট করেছেন।

পুলিস সূত্রে খবর, শিবমন্দিরের লেলিনপুরের বাসিন্দা প্রদীপ বর্ধণের নির্মীয়মান বাড়িতে কাঠের আসবাবপত্র তৈরীর কাজ করছিলেন ধৃত তিন কাঠ মিস্ত্রী। সেই সুবাদেই বাড়ির খুটিনাটি তথ্য একজোট করেছিল অভিযুক্তরা। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গিয়েছিল তারা। ডাকাতির পর বাড়ির মালিক প্রদীপ বর্ধন(৬১) ও তার স্ত্রী দিপ্তী বর্ধণ(৫০) ও প্রসেঞ্জিৎ বর্ধণকে(২৪) শ্বাসরোধ করার পাশাপাশি শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করে অভিযুক্তরা। এরপর তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদের শরীরে রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। সবশেষে প্রদীপ বর্ধণের বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, সোনার অলঙ্কার, ব্যাঙ্কের পাশবই, ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দিয়েছিল অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি।
ঘটনার পরদিন মৃত প্রদীপ বর্ধনের বিবাহিতা মেয়ে রেশমি সেন মাটিগাড়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের শুরুতেই চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ট্র‍্যাক করা হয় মাটিগাড়া থানার পুলিসের তরফে। মেলে সাফল্য। ফোন ট্র‍্যাকের সূত্র ধরেই ১৭ তারিখে পুলিসের জালে ধড়া পড়ে অভিযুক্ত সহদেব বর্মন। তাকে জিঞ্জাসাবাদ করতেই অপর অভিযুক্ত দীপু সুত্রধরকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সবশেষে হদিশ মেলে চিরিঞ্জিৎ মন্ডলের। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয় একইদিনে। ধৃতদের মধ্যে সহদেব ও দীপু শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া ব্লকের ফাঁসিফেওয়া মোড়ের বাসিন্দা। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পিযুষ কান্তি ঘোষ বলেন, আদালত এই খুনের ঘটনাকে বিরলতম খুনের ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে৷ সেই নিরিখেই মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করার পর এদিন এই রায় দেওয়া হয়েছে। যা শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের আইনজীবী চন্দন দে বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

প্রদীপ বর্ধনের মেয়ে রেশমি সেন বলেন, শুরু থেকেই দোষীদের মৃত্যু দন্ড কামনা করেছিলাম। আদালত এদিন সেই রায় দিল। আমি খুবই খুশি যে যারা আমার মা, ভাই ও বাবাকে খুন করেছে তারা রেহাই পেল না।

Body:.Conclusion:.
Last Updated : Jun 29, 2019, 10:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.