শিলিগুড়ি, 24 অগস্ট: একের পর এক পদত্যাগ করার হিড়িক বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে । এবার দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক বিজেপির দুর্গা মুর্মু । তিনি শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক পদে ছিলেন । ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পরেছে রাজনৈতিক মহলে । চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বদল করা হয় । মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মনকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে বিজেপির কিষাণ মোর্চার নেতা অরুণ মণ্ডলকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় । রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই সিদ্ধান্তের জেরে একে একে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হতে শুরু করে দলের অভ্যন্তরে ৷
তার জেরে গত 24 ঘণ্টায় শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির তিনজন সহ-সভাপতি, দু’জন প্রাক্তন সহ-সভাপতি, জেলা সম্পাদক দু’জন, মহিলা মোর্চার সভাপতি, যুব মোর্চার 10 জন, 14 জন মণ্ডল সভাপতি ও একজন কার্যকর্তা-সহ সব মিলিয়ে প্রায় 80 জন পদাধিকারী পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে ।
যদিও প্রত্যেকে নিজের পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক-সহ কর্মস্থলে সমস্যাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন । পদাধিকারীদের পদত্যাগ পত্র জমা পড়তেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন রাজ্যস্তর এবং জেলাস্তরের নেতৃত্বরা । তবে জানা গিয়েছে, বিধায়ক আনন্দময় বর্মনকে ফের জেলা সভাপতি করার দাবি রাখা হয়েছে দলের একাংশের তরফে । পাশাপাশি অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে একাংশের । অরুণ মণ্ডলকে সভাপতি হিসেবে যেকারণে পদাধিকারীরা মানতে নারাজ ।
অন্যদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ও শিলিগুড়ি পৌরনিগম নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের অভ্যন্তরেই নেতৃত্বদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে । দলে বড়সড় রদবদলের ফলে পদ হারানোর আশঙ্কায় অনেকে দলকে চাপে ফেলতে পদত্যাগ করেছে বলেও জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠক বাংলার বিজেপি সাংসদদের, উঠে এল তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে 'ইন্ডিয়া' প্রসঙ্গ
যদিও এই বিষয়ে অরুণ মণ্ডল বলেন, "দলে কোনও সমস্যা নেই । সব ঠিক হয়ে যাবে ।" বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "আমার কাছে পদত্যাগের কোনও খবর নেই ।"