শিলিগুড়ি, 21 জুলাই : জাতিসত্ত্বা ও পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে টানা ১০৪ দিন ধরে চলা মোর্চার আন্দোলনের রোশে পুড়ে গেছিল হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত টয়ট্রেনের পৃথক দুটি স্টেশন । সেদিন থেকে আজ অবধি একই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে ওই স্টেশন দুটি । তবে এবার ওই দুটি স্টেশন সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে UNESCO । পূজোর প্রাক্কালেই রেল ও UNESCO-র যৌথ প্রয়াসে নয়া আঙ্গিকে ওই দুটি স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হবে । গতকাল বিভিন্ন টয়ট্রেন স্টেশন ও তিনধারিয়া ওয়ার্কশপ পরির্দশন শেষে একথা জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের DRM আর কে ভর্মা ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল প্রথম দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশন ও রেল ট্র্যাক পরিদর্শনে যান আর কে ভর্মা । শুরুতেই সুকনা স্টেশন পৌঁছান তিনি । সেখানের আধিকারিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পাশাপাশি স্টেশনের বর্তমান অবস্থার খোঁজ খবর নেন । এরপর তিনি পৌঁছান তিনধারিয়া ওয়ার্কশপে । সেখানে পৌঁছে ওয়ার্কশপের অবস্থা দেখে কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট হন তিনি । কারণ, ওয়ার্কশপের ছাদ চুঁইয়ে কোথাও জল পড়ছে আবার কোথাও আবার জমেছে আবর্জনার স্তূপ । কোথাও আবার অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের পাহাড় জমেছে । তিনি আধিকারিকদের বলেন, দ্রুত ওয়ার্কশপের অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে । সেক্ষেত্রে অবশ্য ১৫ দিন সময় ধার্য করা হয়েছে ।
আর এক ভর্মা বলেন, "তিনধারিয়া ওয়ার্কশপের অবস্থা যথেষ্টই বেহাল । ঠিকঠাক দেখভালের অভাবেই এই অবস্থা । যত্রতত্র আবর্জনাসহ অপ্রয়োজনীয়, বাতিল সরঞ্জাম পড়ে রয়েছে । সেগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে । একইসঙ্গে হেরিটেজ যন্ত্রাংশ স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হবে ওয়ার্কশপে । দ্রুত সেই কাজ করা হবে । তবে ওয়ার্কশপসহ গয়াবাড়ি ও সোনাদা রেলস্টেশনের সংস্কারের ক্ষেত্রে রেল ও UNESCO একযোগে কাজ করবে । সেটা অবশ্য UNESCO প্রদত্ত কম্প্রিহেনসিভ কনজারভেটিভ মেইনটেনেন্স প্ল্যান (CCMP) অনুসারে । চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেই প্ল্যান তৈরি হয়ে যাবে । এরপরই শুরু হবে কাজ । এখনও বৃষ্টি হচ্ছে তাই এখনই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না । সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে । তবে ধস মোকাবিলায় রেল যথেষ্ট উদ্যোগী ।
"