দার্জিলিং, 9 মে: কবিগুরু আর পাহাড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত ৷ বলা যায় কবিগুরুর জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন পাহাড়ে ৷ সেখানে সৃষ্টি করেছেন অনবদ্য সব রচনা ৷ বিশ্বকবি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ি সৌন্দর্যকে মিশিয়ে দিয়েছেন ৷ তাছাড়া কবির অত্যন্ত প্রিয় স্থান ছিল শৈলরানী ৷ দার্জিলিঙের সৌন্দ্যর্যকে তুলে ধরেছেন তাঁর কবিতায় ৷ পাহাড়বাসীর কাছেও কবিগুরু শ্রেষ্ঠ ৷ তাই পাহাড়বাসীও বিশ্বকবির জন্মদিন পালন করতে ভোলেনি ৷ সোমবার মংপু ও গৌরীবাসে পালিত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী (Rabindra Jayanti Celebration)।
১৯৩৮ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার গিয়েছিলেন মংপুতে। সেখানে গিয়ে সুরেলা ভবনে সময় কাটাতেন। কিছুদিন পরে সেই জায়গা পছন্দ না হওয়ায় বন্ধু মনিমোহন সেনকে জানালে তিনি তাকে নিজের বাংলোতে নিয়ে যান। মনিমোহনবাবু ওই সময় কুইনাইন কারখানার ম্যনেজার ছিলেন। সেখানেই বেশ কয়েকবার এসেছিলেন বিশ্বকবি। তিনি সেখানে বসেই 'জন্মদিনে, নবজাতক ও সানাই কবিতা লিখেছিলেন। কিন্তু সুরেলা ভবন আজ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে । মন্ত্রী থাকাকালীন গৌতম দেব ও তৎকালীন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং ওই ভবনটি পরিদর্শন করেন । তা সংস্কারের জন্য দু'কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দও করেছিলেন ।
এই হেরিটেজ ভবনের সংস্কারের জন্য উদ্যোগী হয়েছে সিঙ্কোনা কারখানার বর্তমান ম্যানেজার স্যামুয়েল রাই । মংপুর এই বাংলো এখন রবীন্দ্র ভবনে পরিণত। এই রবীন্দ্র ভবনে কবিগুরুর নিজের হাতে লেখা কবিতা, নিজের হাতে আঁকা ছবি সহ তার ব্যবহৃত আসবাবপত্র রয়েছে। এখন এই ভবন দেখতে ভিড় জমান এই রাজ্য সহ ভিন রাজ্যের পর্যটকরাও ।
আরও পড়ুন : PM Modi pays tribute to Tagore: তিনি অনুপ্রেরণা, পথপ্রদর্শক ! রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কবিগুরুকে স্মরণ মোদি-মমতার
এই প্রসঙ্গেই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘সংস্কারের জন্য কবিগুরুর সব জিনিস সরিয়ে নেওয়া হয়েছে । পর্যটকদেরও ভবনের ভেতরে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে । খুব দ্রুত কাজ শেষ করা হবে ।’’
অন্যদিকে, কালিম্পংয়ের গৌরীবাস । 1938 সাল থেকে 1940 পর্যন্ত চারবার গিয়েছিলেন রবিঠাকুর । 1939 সালের 28 এপ্রিল নিজের লেখা জন্মদিন কবিতা নিজের কন্ঠে আকাশবাণীর মাধ্যমে রেডিওয়ে সম্প্রচার করেছিলেন এখান থেকেই । সেই সময়েই প্রথম কালিম্পিংয়ের সঙ্গে কলকাতা পর্যন্ত টেলিফোন পরিষেবা চালু হয়েছিল ।