শিলিগুড়ি, 22 সেপ্টেম্বর: 14 বছর ধরে নিজহাতে নীরবে, নিভৃতে করে চলেছেন এই কাজ। ইতিমধ্যেই নবজ্যোতির কাজ রীতিমতো নজর কেড়েছে সকলের। বাড়িতেই মূর্তি তৈরি করে দুর্গাপুজো করেন নবজ্যোতি বসাক (Poterist Navajyoti Pal Making Durga Idol)। এবারে প্রায় দু'মাস আগেই মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। প্রতিমা গড়ার কাজও প্রায় শেষের দিকে। প্রতিবছর তাঁর মূর্তি গড়ার সামগ্রী থাকে আলাদা আলাদা ৷
এবারের মূর্তিটি সম্পূর্ণ মাটির। গতবার কাগজ ও থার্মোকল দিয়ে মূর্তি বানিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মূর্তি গড়ার আগ্রহ হন নবজ্যোতি। সেই থেকে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে আসছেন শিলিগুড়ির শিল্পী। কুমোরটুলিতে বাবার সঙ্গে দুর্গা মায়ের মূর্তি দেখতে গিয়ে প্রথম প্রতিমা বানানোর ইচ্ছে জাগে তাঁর। তারপর বাড়িতে মাটি এনে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু করেন। এরপর ধীরে, ধীরে বড় হওয়ার সঙ্গে মূর্তি সুন্দর করে গড়ার ইচ্ছে আরও প্রবল হয়।
সেই থেকেই শুরু হয় গভর্মেন্ট আর্ট কলেজ (Government College of Art) থেকে ভাস্কর্য শিল্প (Sculpture) নিয়ে পড়াশোনা। এখন তিনি দক্ষশিল্পী হয়ে উঠেছেন। ছোটবেলা থেকেই দুর্গা মায়ের মূর্তি তৈরি করার পাশাপাশি দেবী দুর্গার আরাধনাও করে আসছেন নবজ্যোতি। যদিও মূর্তি বানানোটাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ইউনেসকোর স্বীকৃতির পরও ব্রাত্য কুমোরটুলির শিল্পীরা
নবজ্যোতি বলেন, "মূর্তি বানানোটাই আমার কাছে একরকম পুজোর মতো। তাই নিজের মতো করে মায়ের আরাধনা করে থাকি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।" নিজের হাতের মূর্তি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার বেজায় খুশি নবজ্যোতি। ভবিষ্যতে তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে ভাস্কর্য শিল্পকে এক নতুন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার। নতুন কিছু আবিষ্কার করে এই শিল্পকে আরও উন্নত জায়গায় পৌছে দেওয়ায় একনিষ্ঠ লক্ষ্য শিলিগুড়ির নবজ্যোতি।