শিলিগুড়ি, 13 মে : স্বামীকে খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল যুবতি । কিন্তু, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হল । খুন হওয়ার ছ'দিন পর উদ্ধার হল দার্জিলিঙের মাটিগাড়ার বাসিন্দা পিন্টু ভৌমিকের মৃতদেহ । গতকাল বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন লালদাসজোতের মহানন্দা ক্যানাল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর পচাগলা মৃতদেহ । মৃতের ভাই মিঠুন ভৌমিক মৃতদেহ শনাক্ত করেন । BSF-র তরফে ফাঁসিদেওয়া থানার হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় । গতকালই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হাতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয় ।
স্ত্রী সুমনাকে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলায় চলতি মাসের পাঁচ তারিখ খুন হতে হয় মাটিগাড়ার কলমজোতের বাসিন্দা পিন্টু ভৌমিককে। তদন্তে নেমে সুমনার গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ জাগে তদন্তকারীদের মনে । পিন্টুর স্ত্রী সুমনা ও বন্ধু মনিন্দ সিংহকে টানা 14 ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা । জেরায় স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সুমনা । 9 তারিখ পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত দু'জনকেই।
আরও তদন্তের জন্য দু'জনকেই সাতদিনের হেপাজতে নেয় পুলিশ । শুরু হয় জেরা । জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, খুনের পর পিন্টুর মৃতদেহ ফুলবাড়ির রাজীবপাড়া এলাকা সংলগ্ন তিস্তা ক্যানালের জলে ফেলে দেওয়া হয় সেদিন রাতেই । শনিবার সকালে ধৃত মনিন্দকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থানে যান তদন্তকারীরা । লকগেট বন্ধ করে তিস্তা ক্যানালের জলস্তর নামিয়ে দেওয়া হয় । মৃতদেহের খোঁজে ক্যানালের জলে নামানো হয় স্পিড বোট ও ডুবুরি । কিন্তু সেদিন মৃতদেহ পাওয়া যায়নি । গতকাল ফের তল্লাশিতে নামে ডুবুরি । দুপুর নাগাদ মাটিগাড়া থানার OC সুবল ঘোষ ও SI শেখ মকসুদ আলি মৃতদেহের খোঁজ করতে করতে ফুলবাড়ি ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মহানন্দা ক্যানালের ধার বরাবর হাঁটতে শুরু করেন । পথে লালদাসজোত এলাকায় তাঁরা জানতে পারেন, মহানন্দা ক্যানালের জলে প্লাস্টিকে মোড়া একটি মৃতদেহ আটকে রয়েছে । মৃতদেহ দেখেই তাঁরা মহানন্দা BSF-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন । মৃতদেহ উদ্ধারে BSF পুলিশকে সাহায্য করে । মৃতদেহ শনাক্ত করা হয় ।
এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ভরতলাল মিনা বলেন, "মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে । তদন্ত চলছে ।"