দার্জিলিং, 25 মার্চ : সেবকের বাগপুলে (করোনেশন সেতু) শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্লোজ করা হল সেবক ফাঁড়ির ওসি ডালিম অধিকারীকে (Cornation Bridge Case)। তাঁর পরিবর্তে সেবক ফাঁড়ির ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তপন দাসকে ৷ পাশাপাশি ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রোডাকশন ম্যানেজার চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে । শুক্রবার তাঁকে কালিম্পং জেলা আদালতে তোলা হয় । চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নামী প্রোডাকশন সংস্থার উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে রয়েছেন । তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সড়ক বন্ধ করা, বিনা অনুমতিতে সেতুতে অগ্নিসংযোগ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার হেরিটেজ শিরোপাধারী সেবকের বাগপুলে বিনোদ মেহেরার ছেলে রোহন মেহেরার হিন্দি ওয়েব সিরিজ "কালা"র শ্যুটিংয়ের অংশ হিসেবে একটি আর্মি ট্রাকে বিস্ফোরণ করানো হয় । কিন্তু ওই বিস্ফোরণের জন্য দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি । বিস্ফোরণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে কীভাবে 31 নম্বর জাতীয় সড়কের ওই দুর্বল সেতুর উপর শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হল, সেই প্রশ্ন ওঠে ।
অন্যদিকে, করোনেশন সেতু থেকে অল্প দূরত্বে থাকা সেবক থানার পুলিশ ওই ঘটনা না আটকে উলটে কীভাবে শ্যুটিংয়ে সহযোগিতা করল, সেই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপরই তড়িঘড়ি ওই ঘটনার তদন্তে নামে দুই জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তাঁরা। রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) দেবেন্দ্রপ্রতাপ সিং অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে সেবক ফাঁড়ির ওসি ডালিম অধিকারীর কর্তব্যে গাফিলতি মেলে। তারপরই তাঁকে ক্লোজ করা হয় ।
আরও পড়ুন : সেবকের করোনেশন সেতু বিস্ফোরণে আটক শ্যুটিং পার্টির সদস্যরা
কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, "সেবক ফাঁড়ির ওসিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার জায়গায় লেবং টিওপির ওসি তপন দাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তর বিষয়টি কালিম্পং জেলা পুলিশ দেখছে।"