শিলিগুড়ি, 21 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাজ্যপালের প্রাক্তন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী (Nandini Chakraborty) । বর্তমানে তিনি রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের (Tourism Department) সচিব । সেই কারণেই তিনি এদিন সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর ৷
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Bengal Governor CV Ananda Bose) সচিব থাকাকালীন নন্দিনী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নবান্নকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে । সূত্রের খবর, ওই ঘটনা অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলের ভায়লেশনের সামিল (Violation of All Indian Service rule) । তার পরও মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷
রাজভবন সূত্রের খবর, জনৈক সাক্সেনাকে একজন পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল । মূলত, লেখালেখিতে সাহায্য করার জন্যই তাঁকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল । তিনি বিনা পারিশ্রমিকে যোগদান করতেন । এর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে কোনও অর্থ খরচ হত না । কিন্তু নন্দিনী চক্রবর্তী নবান্নকে জানান যে রাজভবনের তরফে একজন আইপিএস অফিসারকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করতে চাইছে ৷ এর জেরে নবান্ন ও রাজভবনের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝির বাতাবরণ তৈরি হয় ।
রাজভবন সূত্র থেকে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল কোনও আইপিএস অফিসারকে নিয়োগের প্রস্তাব দেননি । এক্ষেত্রে ভুল তথ্য নন্দিনী চক্রবর্তী নবান্নকে জানিয়েছেন বলে অভিযোগ । আর এই কারণেই রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে একটা অবিশ্বাসের আবহও তৈরি হয় । মিথ্যা তথ্য নবান্নকে দিয়ে সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেছেন নন্দিনী চক্রবর্তী বলে অভিযোগ । তাই তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করা উচিত । রাজ্যপাল এই কারণেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এরপরেই তড়িঘড়ি নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবন থেকে পর্যটন সচিব হিসাবে সরিয়ে দেওয়া হয় ।
কিন্তু এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নন্দিনী চক্রবর্তীকে দেখা যেতেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে । ওই বিষয়ে বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "রাজ্যপাল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তদন্ত তদন্তের মতো চলবে । তাঁর চাকরি রাজ্যের হাতে । কিন্তু রাজ্য সরকারকেও চিন্তা করা উচিত ।"
আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বনধ করলে রেয়াত নয়, শিলিগুড়িতে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর